ব্যক্তিগত কাজের জন্য কেনা বাইক-মোটরসাইকেল বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করার প্রবনতায় লাগাম টানতে রাজ্য সরকার নতুন নিয়ম আনতে চলেছে।একই সঙ্গে বাইক ট্যাক্সি চলাচলে উৎসাহ দিতে কর কাঠামোতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর।গত দেড় বছর ধরে বাইকের বানিজ্যিক ব্যবহার রুখতে ও বাণিজ্যিক ভাবে এর ব্যবহার নিয়ে সর্বজন গ্রাহ্য নিয়ম তৈরীর প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। অবশেষে বাণিজ্যিক বাইকের জন্য নতুন কর কাঠামো প্রস্তুত বলে পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর।
ই-কমার্স, অনলাইন খাবার ডেলিভারির ব্যবসার জন্য আজকাল বাইক অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এছাড়াও যাত্রী পরিবহণের জন্য অ্যাপ নির্ভর বাইক পরিষেবাও ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু এর সমস্ত কিছুই হচ্ছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা বাইক দিয়ে। অভিযোগ, এর জন্য রাজ্য সরকারকে কোনও কর দেওয়া হচ্ছে না। পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর এই কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যিক মোটরসাইকেল বাইকের জন্য নতুন করকাঠামো আনা হচ্ছে।সরকার ন্যায্য কর থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় এবং ঐসব বাইকের মালিকেরাও যাতে সুলভে তাদের ব্যবসা করতে পারেন এই দুয়ের কথাই মাথায় রাখা হচ্ছে বলে তাদের দাবি।
বাইক ট্যাক্সি হিসাবে গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন করাতে গেলে আগে দিতে হত ৫০০ টাকা। এককালীন এই টাকা দেওয়া হত অ্যাপ্লিকেশন ফিজ হিসাবে। তার বদলে এখন থেকে মাত্র ১০০ টাকা নেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের অনুমান, এতে অনেকেরই সুবিধা হবে। অপরদিকে, এই সমস্ত বাইক যদি ট্যাক্সির মত করে পাশাপাশি ৫ জেলায় চলতে শুরু করে তাদের পারমিট ফি বাবদ জমা দিতে হত ২৫০০ টাকা। এবার তা কমিয়ে ১০০০ টাকা করা হচ্ছে ।গোটা রাজ্যে বাইক ট্যাক্সি চালাতে পারমিট ফি বাবদ দিতে হত ১০০০০ টাকা। এখন মাত্র ২০০০ টাকা দিলেই মিলবে পুরো রাজ্যে জুড়ে বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য বাইক চালানোর অনুমতি। এককালীন সিগনেচার ফি-র পরিমাণ ও কমানো হচ্ছে। পুরনো নিয়মে বাণিজ্যিক গাড়ি চালাতে গেলে নুন্যতম কর দিতে হত প্রায় ৮০০০ টাকা। এখন থেকে সেই টাকা কমিয়ে করা হচ্ছে ৭৮০ টাকা। দ্বিতীয় দফায় সিগনেচার ফি ও তুলে নেওয়া হচ্ছে।এর ফলে রাজ্যে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবার হার অনেকটাই বাড়বে এবং বেকার যুবক যুবতীরা ডেলিভারি সংক্রান্ত ব্যবসায় আরো আগ্রহী হবেন বলে পরিবহণ কর্তারা আশাবাদী।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: