রাম মন্দির নির্মাণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে । রায়ে বলেছে কেন্দ্র একটি ট্রাস্ট গঠন করে রাম মন্দির নির্মাণের শুরু করবে । তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে । বাবরি মসজিদের জমি এবং সংলগ্ন এলাকাতেই এই মন্দির হবে ।
কিন্ত রাম মন্দির কী আদৌ হবে ? রাম মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্র কী আদৌ গ্রহণযোগ্য ট্রাস্ট গঠন করতে পারবে ? এই প্রশ্ন এখন উত্তরপ্রদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে । কেন হবে না ? রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সাধু । যিনি দীর্ঘদিন ধরে রাম মন্দির আন্দোলনের জন্য দেশজুড়ে হিন্দুদের মধ্যে রাম মন্দির গড়ার জন্য জনমত তৈরি করেছিলেন ধর্মীয় ভাষণ দিয়ে , সেই মহন্ত রামদাসকে নাকি খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে ? ভাবা যায় ! যিনি জেল খাটলেন রাম মন্দিরের জন্য তিনিই আজ যোগী আদিত্যনাথের কাছে ব্রাত্য । এই কথা শুনে মহন্ত রামদাসের অনুগামীরা যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ ।
তপস্বী ছাউনির মহন্ত রামদাস পরমহংস অভিযোগ করেছেন এখন মন্দিরের জন্য সরকারের গড়া অছি পরিষদ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে । এমনকি তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছে রামমন্দির ন্যাস। পরমহংস দাস অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমাকে হত্যার জন্যই লোক পাঠিয়েছিলেন ন্যাসের প্রধান নিত্যগোপাল দাস। তারা এসে ভাঙচুর চালিয়েছে। বাদ রাখেনি গালিগালাজও।’’ ন্যাসের সদস্য রামবিলাস বেদান্তী পরিষদের মাথায় বসতে চান বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে রাম মন্দির ন্যাসের  বেদান্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘রামমন্দির নির্মাণের সমস্ত কৃতিত্ব একাই ঝুলিতে পুরতে চান পরমহংস। সেই কারণে আমাকে, নিত্যগোপালকে এবং (উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী) যোগী আদিত্যনাথকে বদনাম করতে এই সব অপবাদ দিচ্ছেন, চক্রান্ত করছেন।’’
পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠেছে যে তপস্বী ছাউনি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে মহন্ত রামদাস পরমহংসকে ।শোনা যাচ্ছে, এখন বারাণসীতে বসে নতুন করে ‘ঘুঁটি সাজাচ্ছেন’ তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অযোধ্যায় রামলালা বিরাজমানের মন্দির তৈরির দায়িত্ব নিক কেন্দ্রের গঠিত ট্রাস্ট। এর পর থেকেই বিভিন্ন মঠ, আখড়া, মন্দিরে আলোচনা, কে কে থাকবেন ওই ট্রাস্টে? কার হাতে থাকবে মন্দিরের ‘চাবি’? কে তুলবেন মন্দির গড়ার টাকা? সেই টাকার সিন্দুকই বা থাকবে কার জিম্মায়? সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, মুখে এ সব কথা না বললেও মূলত এই কারণেই নিজেদের ঝগড়া লুকোতে পারছেন না সাধুরা।
৭০ বছর ধরে চলমান বিবাদের কেন্দ্র বিন্দু রাম মন্দির –বাবরি মসজিদ মামলা । সেই মামলায় হিন্দু পক্ষ জয়ী হয়েছে । সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির তৈরি করার জন্য কেন্দ্রকে ট্রাস্ট করতে বলেছে । এদিকে এই ট্রাস্টে কারা থাকবে তা নিয়ে যে বির্তক শুরু হয়েছে তা কিন্ত শেষ হবে না । কারণ  এর নেপথ্যে বিশাল অংকের আর্থিক লাভ লোকসান রয়েছে । ইতিমধ্যে রাম মন্দির নিয়ে আবার পথে নেমেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া । মনে রাখতে হবে রাম মন্দির আন্দোলনে প্রবীণ তোগাড়িয়ার ভূমিকাকে অস্বীকার করা যাবে না। অস্বীকার করা যাবে না শিবসেনার ভূমিকাকে । তাই মোদী-শাহ-যোগীর কাছে চ্যালেঞ্জ রাম মন্দির নির্মাণ করা । কারণ এবার সমালোচনা আসবে ঘরের ভিতর থেকে তাকে কীভাবে সামাল দেয় সেটাই এখন দেখার ।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: