যাদবপুরের এটিএম কার্ড জালিয়াতির কিনারা করল কলকাতা পুলিশ । সোমবার দিল্লির গ্রেটার কৈলাস এলাকার একটি আবাসন থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। তবে তার দুই সঙ্গী পুলিশের হাত ফস্কে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিডন। রোমানিয়ার কনস্ট্যান্টার বাসিন্দা সে।
রীতিমতো থ্রিলার ছবির কায়দায় অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, দুই সঙ্গীকে নিয়ে গ্রেটার কৈলাস-১ এলাকার একটি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল সিলভিউ। তাদের ধরতে সেখানে তক্কে তক্কে ছিলেন গোয়েন্দারা। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ আবাসন থেকে কিছুটা দূরে একটি এটিএম-এ টাকা তুলতে আসে অভিযুক্ত। আগে থেকেই সেখানে গোয়েন্দারা মোতায়েন ছিলেন পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটি দল। এটিএম-এ ঢুকে কোনও রকমে তা টের পেয়ে যায় অভিযুক্ত। সঙ্গে সঙ্গে এটিএম থেকে বেরিয়ে দৌড় লাগায় সে। কিছুদূর গিয়ে একটি অটোয় উঠে পড়ে।
সেই অটোটিকে তাড়া করে গ্রেটার কৈলাস এলাকায়  পৌঁছে যায় পুলিশও। কিন্তু তত ক্ষণে সিলভিউ তাদের নজর এড়িয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এলাকার কোনও বাড়িতেই সে লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ জাগে পুলিশের। সেই মতো বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু হয়। তাতেই ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটে সিলভিউয়ের হদিশ মেলে। কিন্তু পুলিশ আশার খবর পেয়ে তত ক্ষণে চম্পট গিয়েছে তার দুই সঙ্গী। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিলভিউকে শনাক্ত করে পুলিশ। তার কাছ থেকে স্কিমিং ডিভাইসের একাধিক সরঞ্জাম, ম্যাগনেটিক চিপ্‌স, ব্যাটারি, পিন হোল ক্যামেরা-সহ নানা জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। খোঁজ চলছে তার দুই সঙ্গীরও।
ডিসেম্বরের শুরুতে ওই প্রতারণার কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। যাদবপুর থানা এলাকার একের পর এক ব্যাঙ্ক গ্রাহক দেখেন যে, তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১ ডিসেম্বর প্রচুর টাকা তোলা হয়েছে। পরে একই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বহু গ্রাহক থানায় অভিযোগ জানান যে, পরের দু’দিন অর্থাৎ ২ এবং ৩ ডিসেম্বরও বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠেছে। সব ক’টি ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে টাকা উঠেছে দিল্লির কোনও একটি এটিএম থেকে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి:

atm