কথায় বলে সব তীর্থ বার বার গঙ্গা সাগর একবার।কিন্তু বর্তমান সরকারের কাজের নিরিখে এখন বলা যেতেই পারে ঠিক উল্টোটা। আর মাত্র কয়েকদিন  অপেক্ষা। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে,তারই সাংবাদিক সম্মেলন করে  জেলা প্রশাসন আধিকারিক  পি উল্গা নাথন   দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন অফিসে  অলিপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন সোমবার। জেলা প্রশাসন আধিকারিক পি উল্গানাথন এবং জেলা সভাধিপতি সামিমা সেখ সহ অন্যান্য আধিকারিক রা এদিন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা সভাধিপতি সামিমা সেখ এবং জেলাশাসক ডঃ পি  উল্গানাথন  বলেন  গঙ্গাসাগর   মেলাকে জাতীয় মেলা করতে প্রস্তুত নিয়ে কাজ চলছে।রাজ্য সরকারের তরফ  থেকে  কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে উক্ত  গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার জন্য। প্রতি  বারের ন্যায় এবছর ও  বেশ কিছু   অভিনব  ব্যাবস্থা করা হয়েছে মেলাকে কেন্দ্র করে।পরিবহনের জন্য উপযুক্ত  সরকারি এবং বেসরকারি  প্রায়  চার হাজার এর কাছাকাছি  বাস চালানো হবে। প্রতি বাসে জিপিআরএস লাগানো থাকবে যাতে বাসের অবস্থান জানা যায়। প্রতিবাসে একজন করে সিভিক ভলীনটিয়ার  বা স্বেচ্ছাসেবক থাকবে তাদের নাম্বার দেওয়া হবে। বাসের  যেকোনো আপদ কালীন  সমস্যা হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন  যেন দ্রুত করে  সমস্যা সমাধান করা যায় তার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। মেলায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জন্য ডাক্তার ও অক্সিজেন যুক্ত এম্বুলেন্স ও  হাসপাতালের সুব্যাবস্থা  থাকছে।সাগরে  কোন পূণার্থী মারা গেলে পাঁচ লক্ষ জীবন  বীমা পাওয়া যাবে।   যেকোনো বিপদ এড়াতে  সাগরে  গাড়ীর ৪০ কিলোমিটার এবং অন্যত্র ৬০ কিলোমিটার গতির নির্ধারিত করেছে  পুলিশ প্রশাসন।  দমকলের উপযুক্ত কাঠামো তৈরী করা হচ্ছে।রাস্তা ঘাটের সৌন্দর্যয়েনের পাশাপাশি উপযুক্ত টয়লেটের ব্যাবস্থা বাড়ানো হয়েছে বিশেষ করে বয়স্কদের কথা ভেবে এবছর কোমোট টয়লেট চালু থাকবে।কেউ হারিয়ে গেলে মোট সাতটি ভাষায় মাইকিং করা হবে।লট এইট, কচুবেরিয়া,সাগর সর্বত্র থাকছে নজরদারি।কুম্ভমেলা না থাকায় এবারে ২০২০ তে পূর্নার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলে জানান পি উল্গানাথন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: