শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামরায় নিহত হন ইরাণের জেনারেল কাসেম সোলেমানি , তাঁর সঙ্গে মারা যান ইরাকি জঙ্গি সংগঠনের উপ-প্রধান উপ-প্রধান আবু মহদি আল-মুহান্দিস ওরফে জামাল জাফর ইব্রাহিমি-সহ ৬ জন। জানা গেছে সোলোমানিকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প । সেই মতো মার্কিন ড্রোন হামলায় তাঁদের মৃত্যু হয় । এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেইন । তিনি বলেছেন , মার্কিন ড্রোন হানায় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড কোরের কাদ্‌স ফোর্সের কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর পর ‘জিহাদ’ আরও বাড়বে। আর সেই ‘পবিত্র যুদ্ধে’ জয়ী হবেন ‘জিহাদি’রাই।
এ দিন টুইটে ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইন লেখেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে যে নিরলস কাজকর্ম করে গিয়েছেন, গত কাল শহিদ হয়ে তার পুরস্কার পেলেন সোলেমানি।’’ সোলেমানির মৃত্যুতে ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন খামেনেই।
পরে ইরানের সরকারি টেলিভিশনে খামেইন বলেন, ‘‘সোলেমানির চলে গিয়েছেন বলে তাঁর কাজ বাতিল হবে না। তাঁর পথই অনুসরণ করা হবে। আর যে অপরাধীদের হাত সোলেমানি ও অন্য শহিদদের রক্তে লাল হল, তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই বদলা নেওয়া হবে।’’
টেলিভিশনে খামেইন হুমকি দেন, ‘‘শত্রুদের জেনে রাখা উচিত, এর পর ইরানের জিহাদ আরও বাড়বে। আর সেই পবিত্র যুদ্ধে জিহাদিরাই জয়ী হবেন।’’
আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানিও। বলেছেন, ‘‘সোলেমানি শহিদ হওয়ায় আমেরিকাকে রুখতে ও ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষায় আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবে ইরান। এই অঞ্চলে ইরানের মতো যে সব দেশ আমেরিকার কুক্ষিগত হয়ে থাকতে চায় না, কোনও সন্দেহ নেই, তারা সকলেই এর বদলা নেবে।’’
তোপ দেগেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফ। মার্কিন ড্রোন হানাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে নিন্দা করেছেন। ‘আগামী দিনে আমেরিকাকে এর মূল্য দিতে হবে’ বলে তাঁর টুইটে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: