বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে সমগ্র দেশের মুসলিম সমাজ ও মুসলিম সংগঠনগুলি শান্তির যে বার্তা দিয়েছে তা এক রকম ঐতিহাসিক । অনেক সংগঠন বা অনেক মুসলিম বুদ্ধিজীবী এই রায়কে মানসিক ভাবে মানতে পারেনি। কিন্তু সেটি আলাদা কথা। দেশের বুকে তারা সবসময় শান্তির বার্তা দিয়ে এসেছে। রায় ঘোষণার আগে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছিলেন রায় যাই হোক না কেন শান্তি যেন বজায় থাকে । এবং সেটিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। নিউ এজ ইসলাম ডট কম এ সম্পর্কে ” বাবরি কান্ডে সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ভারতীয় মুসলিমদের আত্ম দর্শন ” শীর্ষক এক প্রতিবেদনে অত্যন্ত ইতিবাচক ভাবে এই বার্তাটি প্রতিফলিত হয়েছে ।
বেশ কিছু সংগঠন আইনের পথে হাঁটতে চলেছে। পিএফ আই নামে একটি সংগঠন মৌনমিছিল করেছে। সেখানেও হঠকারিতার পথ নেওয়া হয়নি। আমাদের স্মরণ থাকতে পারে ১৯৯২ সালে যখন বাবরি ধ্বংস হয় সে সময় দিল্লির জুম্মা মসজিদের ইমাম  সৈয়দ আব্দুল্লাহ বুখারি মুসলিমদের সংযত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেছিলেন আল্লাহ্- র ঘর আল্লাহ্ রক্ষা করবেন। পরাধীন ভারতে লাহোরের শহীদগঞ্জে গুরুদুয়ার- মসজিদ বিতর্ক এক চরম পর্যায়ে পোঁছায়। সেদিন মুসলিম লীগ নেতা মহম্মদ আলি জিন্নাহ শহীদগঞ্জ পরিদর্শন করেন।
জিন্না সেদিন বলেছিলেন , আদালত যে রায় দেবে তা দুপক্ষকে মেনে নিতে হবে। লাহোর হাইকোর্ট সেদিন গুরুদুয়ারের পক্ষে রায় দেয় । সেদিন দুপক্ষই সেই রায় মেনে নেয়। একটি বিশাল দাঙ্গা থামানোর জন্য জিন্নার ভূমিকা আজো স্মরণীয় ও অনুকরণীয় ।


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: