ভাষা শহীদ দিবসেই বাংলাদেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'একুশে' পেতে চলেছেন প্রাক্তন প্রবীন সাংবাদিক ও বর্তমান পিআইবি-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ জী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের শহীদ এবং বিজ্ঞান ও গবেষনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা গুনীদেরকেই প্রদান করা হয় এই জাতীয় ও সর্বোচ্চ বেসামরিক সন্মান। ১৯৭৬ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা শুরু হয় বাংলাদেশে। 

জাফর ওয়াজেদ জী কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়ট গঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৮৩  সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ৷ তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক। দৈনিক জনকন্ঠের সহকারী সম্পাদক। এছাড়াও বাংলাবাজার, দৈনিক মুক্তকন্ঠের বিশিষ্ঠ সাংবাদিক।    বর্তমানে দেশের সাংবাদিকদের উন্নয়ন, প্রশিক্ষন এবং গণমাধ্যমের অভিভাবক হিসাবে কাজ করে চলেছেন  জাফর ওয়াজেদ জী৷ 

উল্লেখ্য, নিজের দেশের সংবাদ মাধ্যমের সাথে সাথে এপার বাংলা ও বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমের কর্মকান্ড ওয়াজেদ জীর নখদর্পনে ৷ এমন এক ব্যক্তি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সন্মান পেতে চলার ঘোষনায় খুশি বাংলাদেশের আপামর সাধারন মানুষ থেকে সে দেশের সংবাদ মাধ্যম। এহেন ব্যক্তিত্ত্বের একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এলো বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম কে উন্নত করার পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সরকারি তরফে কর্মে নিরাপত্তা দেওয়া, প্রশিক্ষন দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর অবদানের প্রসঙ্গ। 

২১-এর ভাষা আন্দোলনের শহিদ সালাম, বরকত, জব্বর, শফিউল সহ অন্য শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে যখন প্রস্তুত বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার, সেই সময় জাফর ওয়াজেদ জীর কর্মজীবনেই হাতে উঠতে চলেছে একুশে-র মতো সম্মানীয় পদক। ভাষা শহীদ দিবসে এই পদক তুলে দেবেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয়া সেখ হাসিনা ৷ আর এই প্রাপ্তির খবরে রীতিমত খুশি তাঁর দপ্তরের প্রশিক্ষক মহ: শাহ আলম থেকে লেকচারার শুভ কর্মকার, মিজানূর রহমান এবং তাঁর সহায়ক শেখ শহিফুদ্দিন মিন্টু। এপার বাংলায় তাঁর অনেক স্মৃতিও উঠে এসেছিলো ফোকাশ বেঙ্গলের প্রতিনিধির একান্ত সাক্ষাৎকারে।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: