মৃতের সংখ্যা যেমন বড়ছে, তেমনই চিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটাও প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেওয়ার মতো। চিন সরকার সূত্রে খবর, আক্রান্তের সংখ্যাটা ইতিমধ্যেই ৬৬ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। চিনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ওই মহামারি ছোবল বসিয়েছে ফিলিপিন্স, হংকং ও জাপান-সহ অন্তত ২৪টি দেশে। ইতিমধ্যেই ফিলিপিন্স, হংকং ও জাপানে মোট তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে।

 

চিনের বাইরে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যাটা আপাত ভাবে নগণ্য। কিন্তু চিনে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যত্রও। এর মধ্যেই ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ৮০ বছরের এক চিনা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই ঘটনা ইউরোপেও ওই রোগের হানার আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে। জাপানে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরাতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে ওয়াশিংটন।

 

আঠেরো বছর আগে চিনেই হানা দিয়েছিল সার্স। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে সার্সকে আগেই ছাপিয়ে গিয়েছিল করোনাভাইরাস। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা পৌঁছে গেল ১ হাজার ৫২৩-এ। উহানের গণ্ডি ছাড়িয়ে করোনা হানা দিয়েছে হুবেইতেও। শনিবার সকালে সেখানে নতুন করে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

জাপানের ইয়োকোহামায় আটকে থাকা ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ নামে জাহাজে তিন ভারতীয়ের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল আগেই। জাপানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়ে দিয়েছে, আক্রান্ত ওই তিন জনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ওই জাহাজের আর কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। ওই জাহাজের আরও কোনও যাত্রী করোনায় আক্রান্ত হননি বলে একটি সূত্রে খবর। কিন্তু সংবাদ সং‌স্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও ৬৭ জন যাত্রী ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: