ভারতেও ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। আরও ৬ জনকে পজিটিভ পাওয়া গেল। এবার আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল আগ্রার একটি পরিবারে। আপাতত তারা দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

 

এই নিয়ে মোট ১১ জনের দেহে করোনা পাওয়া গেল। আগে চিন ফেরত কেরলের তিন জন পড়ুয়া এবং গতকালই দিল্লি ও তেলঙ্গানার একজন করে বাসিন্দা করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

 

আগরার ওই পরিবারের দু’ভাই সম্প্রতি ইতালি গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পর তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়ায় পরিবারের আরও চার সদস্যের মধ্যে। তাই এই ৬ জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই দুই ভাইকে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এঁরা ছাড়া বাকি সদস্য যাঁদের মধ্যে এখনও সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি, তাঁদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেদের ঘরে বন্দি রাখতে বলা হয়েছে।

 

আগ্রার প্রতিটা হোটেলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে  হোটেল, রেস্তোরাঁয় কোনও ইতালি, চিন এবং ইরানের পর্যটক এলেই দ্রুত মুখ্য মেডিক্যাল অফিসারের কাছে তা জানানোর।

 

সোমবার দিল্লি এবং তেলঙ্গানার যে দুই ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল, তাঁরা দু'জনই আপাতত চিকিৎসাধীন। দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি ছেলের বন্ধুদের একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে নয়ডার একটি স্কুলের ছাত্র। তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের খোঁজ পাওয়ার পরই সে দিন ওই পার্টিতে যোগ দেওয়া সমস্ত পড়ুয়া এবং অভিভাবকের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নয়ডার ওই স্কুলটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে বন্ধ রাখা হয়েছে ওই এলাকার অন্য একটি স্কুলও। এলাকার জেলা আধিকারিক বিএন সিংহ বলেছেন, ‘‘আক্রান্তের সঙ্গে ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন এমন দুটো পরিবারকে নজরবন্দি করা হয়েছে। ওই স্কুলেও চিকিৎসকদের একটি দল গিয়েছে।’’ তবে এখনই এতটা আতঙ্কের কিছু নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের জেরে যাতে অহেতুক মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে পড়েন, তার জন্য টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। তিনি টুইটে সমস্ত মানুষকে শান্ত থাকতে বলেছেন এবং ভাইরাস রোধে প্রয়োজনীয় সতর্কতাটুকু নিতে বলেছেন।

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: