শেষ পর্যন্ত এক বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হল বেসরকারি হাসপাতাল কর্ত্রীপক্ষকে। জানা গেছে  বেনিয়াপুকুর থানা এলাকার ওই বাসিন্দা রবিবার ভোরে শেক্সপিয়র থানা এলাকার অন্তর্গত পার্ক ক্লিনিকে পরিবারের সঙ্গে যান।

 

তাঁর নাক দিয়ে জল গড়াতে থাকলেও জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো করোনা-উপসর্গ ছিল না। প্রথমে বৃদ্ধাকে হাসপাতালের দোতলায় ‘অবজারভেশন ওয়ার্ডে’ ভর্তি করা হয়। ঘণ্টা দুয়েক পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে করোনাভাইরাসে এ রাজ্যের নোডাল হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডি-তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। তা শুনে বৃদ্ধা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান! বৃদ্ধার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আইডি-তে ভর্তি হবেন না। শেক্সপিয়র সরণি থানায় বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক-প্রশাসক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ঘটনার কথা জানান। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও বৃদ্ধার খোঁজে নামেন।

 

পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে আইডি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি চিকিৎসকদের হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। তাঁর কাউন্সেলিংয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে ‘হোম কোয়রান্টিন’ লিখে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সাহায্যে তাঁকে আই ডি-তে আনিয়েও কেন ভর্তি করা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালের অধ্যক্ষা অণিমা হালদারের দাবি, চিকিৎসার আইন অনুযায়ী, কাউকে জোর করে ভর্তি করা যায় না। এর মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ওই বৃদ্ধার খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ এবং চিকিৎসকের দল। দু’ঘণ্টা পরে তাঁকে ভর্তি করাও সম্ভব হয়। তত ক্ষণে অবশ্য বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কেন এমন হল, আই ডি কর্তৃপক্ষের কাছে তার ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: