জেন ওয়াই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত টেকস্যাভি হয়ে উঠছে এ নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সেই সঙ্গে মোবাইল আর ট্যাবে অনেকে নেশার মতো বুঁদও হয়ে থাকছেন। আর কেউ এই মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকলে অন্য কারোর এটাকে পাগলামোর সমান মনে হয়। ঠিক এই ঘটনা থেকেই গানের জন্ম হতে পারে এবং তা ভাইরাল সুপরাহিট ভিডিয়ো অ্যালবামে বাস্তবায়িত হতে পারে এটা কখনও ভাবতে পারেন ? হ্যাঁ, ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে বাঙালি অভিনেত্রী মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বুঝতে কি একটু অসুবিধা হলো ? তাহলে একটু খুলেই বলা যাক।  

 

সম্প্রতি অভিনেত্রী মালবিকার এক বন্ধু তাঁর সঙ্গে আড্ডা দিতে এসে মোবাইলেই মগ্ন হয়ে যায়। সেদিন ওই বন্ধুকে দেখে মালবিকা মজা করেই বলেছিলেন, ''ইয়ে তেরা জো পাগলপন হ্যায়, মুঝকো কহি পাগল না কর দে''। ব্যাস এই লাইনটা থেকেই গানের আইডিয়া। তারপর নিজের মতো লাইন লিখে একটা সম্পূর্ণ গানের রূপ দেওয়া। শুধু লেখা নয়, গানটা গেয়েওছেন মালবিকা নিজেই। 'পাগলপন' অ্যালবামের জন্য মালবিকার এটি প্রথমবার গান লেখা এবং এই দ্বিতীয়বার গান গাওয়া। এই গানটি নাকের সুরে গেয়েছেন তিনি, যাতে আরও বেশি করে মজাদার হয়ে ওঠে ভিডিয়োটি। এছাড়া ভিডিয়োটিকে আরও মিনিংফুল আর দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য ইজিপ্সিয়ান মহারানির মতো শ্যুট করা হয়েছে। বালির মধ্যে নৌকা চালাতে হয়েছে মালবিকাকে। পুরোটাই বেশ মজার। কমেডির মোড়কে বিভিন্ন কিছু দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকী এই মিউজিক ভিডিয়োর মাধ্যমে বেশকিছু বার্তা দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে। সাধারণত পশুদের বেঁধে রাখা হয়, সেই বিষয়টি থেকে এই গানে মালবিকাকে চিতাবাঘের চেন ছিঁড়ে দিতে দেখা গেছে।

 

এছাড়া গানের একটি লাইন রয়েছে - 'ইয়ে তেরা জো সেলফি স্টিক হ্যায়, মুঝকো কহি না ঘায়েল কর দে।' আজকাল প্রায়ই শোনা যায়, সেলফি তুলতে গিয়ে অনেকেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। সেটা যাতে না হয় সেরকম একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এককখায় মজার ছলে অর্থপূর্ণ একটি মিউজিক ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। যার সঙ্গে রয়েছে একটি সামাজিক বার্তাও। 'পাগলপন'-এর কোরিওগ্রাফি করেছেন 'আতি কা খান্ডালা', 'ঝঙ্কার বিটস', 'ডাল মে কুছ কালা হ্যায়' মতো বহু হিন্দি সুপার হিট গানের কোরিওগ্রাফার ললিপপ। পরিচালক ছিলেন রাহুল জনার্দন। ইতিমধ্যেই ভিডিয়োটিতে মালবিকার অভিনয় এবং গান সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। আপনাদের জন্য রইল গানটি –


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: