যদিও অনেক বলিউড নায়িকার সাথেই নাম জড়িয়েছে মিস্টার খিলাড়ির, তবুও শেষ পর্যন্ত তিনি বিয়ে করেন টুইঙ্কেল খান্নাকেই।

জানা যায়, টুইঙ্কলকে নাকি প্রথম দেখাতেই তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন অক্ষয়। টুইঙ্কলও অক্ষয়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ক্রমে। তবে তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্তটা অনেকটা ফিল্মি।

২০০০ সালে টুইঙ্কলের ‘মেলা’ ফিল্ম মুক্তি পাওয়ার কথা। আমিরের বিপরীতে রূপা সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন টুইঙ্কল। ফিল্মটা নিয়ে টুইঙ্কল ভীষণ আশাবাদী ছিলেন। ফিল্মটা যে সুপার হিট হবে সেটা অক্ষয়কে জানিয়েছিলেন।

অক্ষয় কিন্তু সেটা মানতে পারেননি। তখনই টুইঙ্কল বাজি ধরেছিলেন ওই ফিল্মটা নিয়ে। বাজিটা ছিল এরকম, যদি ফিল্মটা ফ্লপ করে তাহলে তিনি অক্ষয়কে বিয়ে করে নেবেন। কেরিয়ারের শীর্ষ মূহূর্তে বিয়ে করতে চাইছিলেন না টুইঙ্কল। তাই এই বাজি ধরেন। কারণ তিনি একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন তিনি বাজি জিতবেনই।

কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর দেখা যায়, টুইঙ্কল বাজি হেরে যান। ফিল্মটা বক্স অফিসে তেমন চলেনি। এর পর ২০০১ সালে অক্ষয়কে বিয়ে করেন টুইঙ্কল।

ডিজাইনার বন্ধুর বাড়িতে মাত্র দু’ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠান করে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল মাত্র ৫০ জন অতিথি। সেই তালিকায় আমির খান, রাজনৈতিক নেতা অমর সিংহ এবং পরিচালক ধর্মেশ দর্শনের মতো ঘনিষ্ঠ কয়েকজন অতিথি ছিলেন।

তাঁরা যে সত্যিই বিয়ে করেছেন তা প্রথমে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেননি। তাঁদের দুজনের প্রথম দেখা মুম্বইয়ের একটা ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের ফটোশুটে। টুইঙ্কলকে প্রথম দেখেই প্রেমে পড়েছিলেন অক্ষয়। টুইঙ্কলের সঙ্গে তোলা সেই প্রথম ফটোটা আজও সযত্নে রেখে দিয়েছেন তিনি

তারপর ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’ ফিল্মে একসঙ্গে অভিনয় করার সময় থেকেই কাছাকাছি আসতে শুরু করেন দু’জনে। অক্ষয়ের ঘন ঘন প্রেমে পড়া দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন টিকবে না। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণ করে ১৮ বছর ধরে সুখী দম্পতি তাঁরা। আরভ এবং সিতারা নামে দুই সন্তানও রয়েছে তাঁদের।

অক্ষয়ের জীবনে অনেক প্রেম এসেছে। রবিনা টন্ডনের সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছর ডেট করেছেন। তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।

একসময় রেখার সঙ্গেও অক্ষয়ের নাম জড়িয়েছিল। রবিনা নাকি তখন রেখাকে অক্ষয়ের থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন। তারপর তাঁর জীবনে শিল্পা শেট্টি, পূজা বাত্রা, আয়েশা জুলকা এসেছেন। এমনকি টুইঙ্কলকে বিয়ের পর প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল।

প্রথম প্রথম নাকি টুইঙ্কলও অক্ষয়কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, তাঁদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। গসিপে কান না দিয়ে অক্ষয়েই ভরসা রেখেছেন তিনি।

বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেন টুইঙ্কল। ইন্টিরিয়র ডিজাইনার হন তিনি। তাঁর প্রতিটা সিদ্ধান্তেই অক্ষয়কে পাশে পেয়েছেন টুইঙ্কল।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: