ছিলেন জাদুসম্রাট, হলেন বাঘ। অভিনেতা রুবেল দাস হলেন মেঘরাজ থেকে সিদ্ধার্থ। ‘ভানুমতীর খেল’-এর নায়ক মেঘরাজকে নতুন ধারাবাহিক ‘বাঘ বন্দি খেলা’য় দেখা যাবে নায়ক সিদ্ধার্থর চরিত্রে। মেঘরাজ জাদুবিদ্যা দেখাতেন। আর সিদ্ধার্থ নিজেই হয়ে যাচ্ছে বাঘ। আপনার ওপরেই জাদু হতে চলেছে এ বার?

রুবেল হাসলেন, “হ্যাঁ, আমাকেই বাঘ বানিয়ে দিল!”

কী ভাবে বাঘ হয় সিদ্ধার্থ? তিনি বললেন, “সুন্দরবনে রায়ার (ঈশানী দাস) সঙ্গে সিদ্ধার্থর বিয়ের সময় কিছু বাঘ সিদ্ধার্থকে আক্রমণ করে। রায়া তাকে যখন খুঁজে পায় দেখে সারা গায়ে আঁচড়ের দাগ। পূর্ণিমার রাতে বারোটার পর সিদ্ধার্থ বাঘ হয়ে যাবে। এটা অভিশাপ।”

 

অভিশাপ কেন? রুবেল বললেন, “কারণ রায়ার বাড়ির মেয়েদের বিয়ে হলেই অঘটন হয়। অভিশাপ আছে।”

সিদ্ধার্থ বিদেশে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করেছে। মানুষের সেবা করে। অর্থ উপার্জনের জন্য ডাক্তারি করতে তার প্রবল আপত্তি। বাড়ির মানুষরা তাই অখুশি।

 

 

মেঘরাজ ও সিদ্ধার্থ হিসেবে কেমন লাগছে? রুবেলের উপলব্ধি: “লাকিলি এ রকম দুটো চরিত্র পেলাম। সিদ্ধার্থ চরিত্রটায় দুটো শেড আছে। একটা আফটার ট্রান্সফরমেশন, আর একটা বিফোর ট্রান্সফরমেশন। যখন বাঘ হচ্ছি... সত্যি বলতে, আমার কাছে কোনও রেফারেন্স নেই। আমার মতো করে চেষ্টা করছি। খুব ডিফিকাল্ট। আশা করছি মেঘরাজ যতটা মানুষের কাছে পৌঁছেছে তার থেকে বেশি সিদ্ধার্থ চরিত্রটা পৌঁছতে পারবে।”

রায়ার সঙ্গে কী ভাবে দেখা হয়? রুবেল বললেন, “মানুষের সেবা করতে গিয়ে নায়িকা রায়ার সঙ্গে সিদ্ধার্থর দেখা হয়। রায়া বৃদ্ধ মানুষদের হেল্প করে, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিও করে। কিন্তু একটা সময় অভিশাপের ভয়ে রায়া সিদ্ধার্থর থেকে পালায় সুন্দরবনে। সেখানে সিদ্ধার্থ জোর করে একটা মন্দিরে তাকে বিয়ে করে।”

‘টোয়াইলাইট’, ‘জুনুন’ ইত্যাদি ফিল্মেও এ রকম গল্প দেখা গিয়েছে। তিনি বললেন, “আমাদের গল্প অনেকটাই আলাদা।”

ঈশানীর সঙ্গে আপনার প্রথম কাজ? তিনি বললেন, “হ্যাঁ। হিরোইন হিসেবে ঈশানীর এটাই প্রথম কাজ। খুব ভাল করছে।”

সবাইকে নিয়ে মিমিক্রি করা রুবেলের অভ্যেস। এখানেও কি শুরু করেছেন? তিনি বললেন, “এখন অবজারভেশন পিরিয়ড চলছে। সবে শুট শুরু করেছি তো। আশা করছি খুব শিগগির নতুন টিম মেম্বারদের নিয়ে মিমিক্রি শুরু করব।”

৬ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘বাঘ বন্দি খেলা’ দেখা যাবে জি বাংলায়।

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: