বর্তমানে বলি ইন্ডাস্ট্রির অতি পরিচিত মুখ সারা আলি খান। সারা মানেই গ্ল্যামার ঝরে পড়া। দুর্দান্ত ফিগার। কিন্তু সেই সারার কিছুদিন আগের ছবি দেখলে আপনি চিনতে পারবেননা। তিনি ছিলেন যথেষ্ট মতা। ওজন ছিল ৯৬ কেজি। কিভাবে ঘটালেন তিনি এই আমূল পরিবর্তন ?

সম্প্রতি সারা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাঁর কলেজ জীবনের ভিডিয়ো। ভিডিয়োর ওই মহিলাই যে আজকের সারা, তা সহজে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না।

সে সময় ৯৬ কেজি ওজন ছিল সারার। এই ছিপছিপে তন্বীর মুখ যে এক সময় এ রকম গোল ছিল, তা কখনও ভাবা যায়! শুধু কি মুখ, সারা শরীরের অবস্থাও তেমনই ছিল।

সেই সারাই বর্তমানে ৫২ কেজি ওজনের। গ্ল্যামার যেন ঝরে পড়ছে তাঁর শরীর থেকে। সারার এই আমূল পরিবর্তনের রহস্য কী জানেন?

বিষয়টা এত সহজ ছিল না। কঠিন পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। দুইয়ের মেলবন্ধনে মাত্র দেড় বছরে ৪৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি।

সারা রোজ তিনটি ব্যায়াম অনুশীলন করতেন। সেই তিনটি ব্যায়ামই দ্রুত তাঁর ওজন কমাতে সাহায্য করেছে। কী সেগুলো?

বাবা-মার আদরের সারা ছোট থেকেই বেশ স্বাস্থ্যবানই ছিলেন। কিন্তু পরে স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য তিনি কলম্বিয়াতে থাকতে শুরু করেন। সারার দেবা, সেই সময় অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস তাঁর এমন অবস্থা ঘটিয়েছিল।

পিত্জা, বার্গারের পাশাপাশি সারার আবার পলিসিস্টিক ওভারি ডিসঅর্ডারও ছিল। এটাও তাঁর ওজন বৃদ্ধির একটা কারণ ছিল। বন্ধুবান্ধবেরাও তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন।

কিন্তু স্নাতক হওয়ার এক বছর আগে সারার জেদ চেপে বসে নিজেকে স্লিম করে তোলার। কিন্তু তাঁর ওজন এতটাই বেশি ছিল যে প্রথম থেকেই ওই তিনটি ব্যায়াম তাঁকে করার অনুমতি দেননি জিম ট্রেনার।

প্রথমে সারা দিনে প্রচুর হাঁটতে শুরু করেন সারা। সঙ্গে ছিল সাইক্লিং এবং ট্রেডমিল। আর কঠিন ডায়েট চার্ট তো ছিলই।

ওজন বেশ কিছুটা কমলে তারপর তিনি নিয়মিত জিমে যেতে শুরু করেন। তাঁর জিম ট্রেনার তাঁকে দিয়ে একাধিক কঠিন ব্যায়াম করিয়েছেন। মনের জোরে সারাও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে অনুসরণ করে গিয়েছেন ট্রেনারকে।

তাঁর জিম ট্রেনার হলেন নম্রতা পুরোহিত। বক্সিং, কার্ডিয়ো এবং পাইলেটস— এই তিনটি পদ্ধতির সাহায্যে ক্রমে নিজেকে এমন ছিপছিপে করে তুলেছেন সারা।

রোজ দেড় ঘণ্টা তিনি জিম করেন। এ ছাড়া অনেকেই জানেন না সারা প্রশিক্ষিত ওডিশি নৃত্যশিল্পী। তাঁর রোজকার ফিটনেস চার্টে, নাচের অনুশীলনও রয়েছে।

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: