বিবাহ বিচ্ছেদের ধাক্কা তাঁকে সামলাতে হয়েছিল মাত্র সাড়ে চার বছর বয়সেই। ঐ বয়সেই তাঁর বাবা মা এর বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তাই আবার যখন ধাক্কাটা নিজের ক্ষেত্রে এলো তিনি মুষড়ে পড়েননি। অনুভব সিংহের ‘থাপ্পড়’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন দিয়া। সেই ছবির প্রচারে এসে তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সেলেব্রিটি বলে বিয়ে ভাঙায় যে কষ্ট হয়নি, তা নয়। কিন্তু মা-বাবার ঘটনাটা থেকে আমি সাহস সঞ্চয় করেছি। অনেকেই ভয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তবে তাঁদের বলতে চাই, এমন দিনও কেটে যায়।’’

গত বছর সাহিল সঙ্ঘার সঙ্গে পাঁচ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেছিলেন অভিনেত্রী। সাহসের উৎস হিসেবে দিয়া বলেন, ‘‘চোদ্দো বছর ধরে আমি সকালে উঠে ধ্যান করি। বাড়িতে বাগান করেছি। রোজ ওখানে কত পাখি আসে... এ সব না থাকলে মনের শান্তি ধরে রাখা যায় না।’’

পাঁচ বছর আগে ডিসেম্বর ব্যবসায়ী সাহিল সাংঘার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দিয়া মির্জা।তবে কী কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তা অবশ্য জানা যায়নি। দিয়া মির্জা বলেন, দুজনের সম্মতিতেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন তারা। অভিনেত্রী লিখেছেন, ”১১ বছর একসঙ্গে জীবন কাটানোর পর একসঙ্গে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। রাস্তা আলাদা হলেও দুজনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা থাকবে।”

 টুইটে দিয়া লিখেছিলেন , ”আমাদের পরিবার ও বন্ধুরা প্রত্যেকে বুঝেছেন এবং পাশে রয়েছেন। মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ তারা এতদিন যেমন পাশে থেকেছেন এই সময়েও থাকবেন। এই পরিস্থিতিতে একান্ত সময়ের প্রয়োজন। এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আর কোনও কথা বলতে চাই না।”

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: