আজকের দিনেই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শ্রীলেখার মতে ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব, আমার স্বপ্নের নায়িকা শ্রীদেবী আমার মধ্যেই থেকে যাবে। সেই কোন ছোটবেলায় ‘হিম্মতওয়ালা’ দেখতে গিয়ে আমার ওর সঙ্গে আলাপ। তার পরে ওর কোনও ছবি আমি বাদ দিইনি। ‘রূপ কি রানী চোরোকা রাজা’ দেখেছি আবার ‘সাদমা’-এর মতো ছবিও দেখেছি। শুধু ভেবেছিলাম একবার দেখা হবে, পায়ের কাছে বসে থাকব। এরকম অনুভূতি শাহরুখ, আমির, সইফ কারোর সঙ্গে হয়নি।

 

ওই শিফন শাড়ি,ওই কথা বলার ধরন, ওর জীবনদর্শন সবকিছু আমি ফলো করেছি। একজন অভিনেত্রী হয়ে দেখেছি কী ভাবে নায়ককে জড়িয়ে ধরলেও বুকের কাছেতিনি নিজের হাত দুটো রেখে দিতেন। এখানেই তিনি অনন্য। সাক্ষাত্কারে পড়েছি মেয়েদের কী ভাবে সামলেছেন। মেয়েরা বড় হলে আজকাল তারা কোনও বারণ শুনতে চায় না। কী করতেন মা শ্রীদেবী তখন? মেয়েদের নাইট পার্টিতে ছেড়ে দিতেন আর নিজে বাইরে গাড়িতে বসে থাকতেন। ভেবেছি, কেন এত প্রোটেক্টিভ ছিলেন? আসলে নিজের শৈশব পাননি শ্রীদেবী। দশ-এগারো বছরের একটা মেয়েকে নায়িকা সাজিয়ে সিনেমা করতে বলা হয়েছিল। স্বভাবতই বড় হতে হতে অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাকে। তার মেয়েদের সঙ্গে যেন এমনটা না হয় সে দিকে কড়া নজর ছিল।

 

ওর প্রত্যেকটা চরিত্রের মধ্যে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে। অসাধারণ কমিক টাইমিং সেটা ‘চালবাজ’ দেখলেই বোঝ যায়। আজও যখন ওর নাচ দেখি আমার লোম খাড়া হয়ে যায়। ‘চাঁদনী’-তে ওই সাদা কাঁচুলি পরে নাচ... ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এ ওঁর অভিনয়ের অভিনবত্ব। একটু তাকানো। একটু হোঁচট খাওয়া। এগুলো পরিচালক নির্দেশিত নয়, শ্রীদেবীর নিজে থেকেই আসে। এরকম একজন রিফাইন্ড অ্যাক্টর আমার আর চোখে পড়ে না।

 

আমি বরাবর উত্তম-সৌমিত্রের মতো শ্রীদেবী-মাধুরীর ডিবেটে শ্রীদেবীর পক্ষ নিয়ে লড়াই করেছি। তবে ওঁর এই পরিণতি মেনে নিতে পারিনি। সে দিন সারারাত কেঁদেছিলাম। আমি আর সুদর্শন ওঁকে নিয়ে অনুষ্ঠানও করেছি। কিন্তু ওকে জানতে পারলাম কই? ও তো সময়ই দিল না’!

 

 

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: