‘জাজমেনটাল হ্যা কেয়া’ ছবিতে কে আসল মেনটাল সেটা খুঁজতে সবার ‘জাজমেনটাল’ হওয়ার জোগাড়।প্লটের ঘোরপ্যাঁচে টানটান উত্তেজনা জিইয়ে রেখেছেন পরিচালক প্রকাশ কভেলামুড়ি।কিছু ত্রুটি থাকা স্বত্বেও সাইকোলজিক্যাল ব্ল্যাক কমেডির আর্দশ উদাহরণ হতে পারে এই ছবি।

 

কঙ্গনা রানাউত যে মানসিক রোগী, সেটা ট্রেলারেই স্পষ্ট ছিল। কিন্তু রাজকুমার রাও? তাঁর গল্পটা ঠিক কেমন? গোটা ছবি জুড়ে সেটাই চেজ় করতে হয় দর্শককে। যখনই মনে হবে রাজকুমারের চরিত্রটিই আসল অপরাধী, তখনই কঙ্গনার কোনও একটি ‘উদ্ভট’ কাণ্ড তাতে পরত ফেলে দিচ্ছে। 

ববির (কঙ্গনা) শৈশব মসৃণ ছিল না। এক দুর্ঘটনায় তার বাবা-মা মারা যায়। বড় হওয়ার পরেও ববির কিছু আচরণ বলে দেয়, মেয়েটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়। আসলে কোনটা স্বাভাবিক আর কোনটা অস্বাভাবিক, তার গণ্ডিটা খুব সূক্ষ্ম। ফিল্মস্টারদের মতো পোশাক পরা, সিনেমার চরিত্রদের মতো সেজে ছবি তোলাই কি চূড়ান্ত পাগলামির উদাহরণ? উল্টো দিকে রাজকুমারের চরিত্র কেশবের জীবন একদম ঠিকঠাক স্রোতে। কিন্তু আচমকাই তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এটা নিছক দুর্ঘটনা না কি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র? ববি একেবারে নিজস্ব স্টাইলে তদন্তে নামে। স্বাভাবিক ভাবেই কোনও দৃশ্যে সে হাসির খোরাক, কোনও দৃশ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আবার নিজের অজান্তেই ঘটিয়ে ফেলেছে অঘটন।

 

এই ছবির প্রথমে নাম ছিল ‘মেন্টাল হ্যায় কেয়া’। মানসিক রোগীদের ভাবাবেগে আঘাত-সহ নানা আপত্তির কারণে নির্মাতারা ‘মেন্টাল’ শব্দটির পরিবর্তে ‘জাজমেন্টাল’ বসিয়েছেন। কাহিনিতে মানসিক রোগীদের নিয়ে মশকরা না করা হলেও কঙ্গনার চরিত্রটির উদ্দেশে ‘পাগল’, ‘মেন্টাল’ এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

কঙ্গনা রাজকুমারের কিছু দৃশ্য কাঁচি করা স্বত্বেও নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে।কঙ্গনাও কিছু কম যাননা।ববির অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব নিখুঁত ভাবে ফুটিয়েছেন। এই চরিত্র তিনি ছাড়া আর কেউ করতে পারতেন না। কঙ্গনা রানাউতের আচরণ নিয়ে জাজমেন্টাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, অভিনয়ের জায়গায় তিনি সে অবকাশ রাখেননি।এককথায় বলা যায় প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন।

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: