স্বাধীনতা দিবসের দিনেও শোভন অস্বস্তি এড়াতে পারল না তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠে বৃত্তে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কেন বোঝানো সম্ভব হল না ? এ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের মহাসচিবকে। যদিও এ প্রশ্নের জবাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শোভনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, 'সম্পর্ক যদি জোড়া না লাগে তবে তার দায়িত্ব কার? কে কোথায় যাচ্ছে জানি না। তবে আমরা কেউ মমতাকে ছেড়ে যাচ্ছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দলে কেউ অপরিহার্য নয়।' এমনকী শোভন চট্টোপাধ্যায় চলে যাওয়াতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, শোভনকে ছাড়াই বেহালাতে তৃণমূল জিতেছে।

 

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিষ্ফোরক তিনি। শোভন বাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের সময় থেকেই ভোটে বিরোধীদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি তখনই বলেছিলাম, এটা ঠিক হচ্ছে না। এই মুহূর্তে আমি ইতিবাচক শক্তির হাত ধরতে চাই।’’ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এদিন বিজেপির সদর দফতরে পৌঁছে যান আরও এক তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। তবে তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না সে বিষয়ে কিছু খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন জানান শোভন চট্টোপাধ্যায়।   

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: