যখন ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়েছিল বাংলার ওপর তখন অনেকবার ফোন করা স্বত্বেও মমতা কথা বলেননি বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন মোদী। কিন্তু এবার চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে তা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হল মোদী ও মমতার মধ্যে। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস ও পাওয়া গেলো।

শনিবার রাতভর উপকূল এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। তাতে রাজ্যে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা জানতে রবিবার সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন নরেন্দ্র মোদী। অনেকক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। তার পরেই টুইটারে মোদী লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বৃষ্টির পর পূর্ব ভারতের একাধিক এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি।  সাইক্লোন বুলবুলের তাণ্ডবে এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি কেমন, তা নিয়ে কথা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওঁকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সকলে সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন, এই কামনাই করি।’

 

রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রেখেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এ দিন টুইটারে তিনি লেখেন, ‘পূর্ব ভারতে সাইক্লোন বুলবুলের দাপটের দিকে নজর রেখেছি। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরের ত্রাণ সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি। প্রতিকূলতার সঙ্গে যাঁরা যুঝছেন, তাঁদের মঙ্গল কামনা করি। ’

 

বাংলা এবং ওড়িশায় ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে বলেও জানান শাহ। তিনি লেখেন, ‘উদ্ধারকার্য, সড়ক পুনরুদ্ধার এবং ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে বাংলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ১০ বাহিনী নামানো হয়েছে। ওড়িশায় নামানো হয়েছে ৬ বাহিনী। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও ১৮ বাহিনী।’

 

গত দু’দিন ধরে একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টির পর, গতকাল রাতে বাংলার স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাতে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। তাতে বেশ কিছু গাছ উপড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক মাটির বাড়ি। একাধিক জায়গায় বিঘ্নিত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবাও। 

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: