বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে বুলবুল-বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বার্তা দিলেন যে ত্রাণ নিয়ে কোন রাজনীতি নয়।

এ দিন আকাশপথে বসিরহাটের বুলবুল-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পরে বসিরহাটের মেরুদণ্ডীর কর্মতীর্থে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা রাজ্যে ১৫ লক্ষ হেক্টর জমির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। 

 

এ দিন বসিরহাট মহকুমায় ঝড়ে মৃত পাঁচ জনের পরিবারকে দু’লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা করে দেন মমতা। উপস্থিত জনতাকে বলেন, ‘‘বিপদে পড়বেন না। আমরা মাথার উপরে আছি। যতটা পারব চেষ্টা করব।’’ 

এ দিনের বৈঠকে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ত্রাণসামগ্রী বিতরণ নিয়ে যেন এ পার্টি ও পার্টি না হয়। মানুষ বিপদে পড়লে সবাইকে কাছে টানতে হবে। ত্রিপল নিয়ে কারও ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। যিনিই বিপদে পড়ছেন, তাঁকেই দিতে হবে। এটা এর ঘর, ওটা ওর ঘর, দেখার প্রয়োজন নেই।’’ ত্রাণ বণ্টনকে ব্যক্তিগত ফায়দা তোলার কাজে লাগানো রুখতে তাঁর সতর্কবাণী, ‘‘এই সুযোগে কিছু লোক চুরি-টুরি করবে। কেউ সামগ্রী (বিতরণের জন্য) নিয়ে এসে নিজেরা খেয়ে নেবে। এলাকায় এসে গন্ডগোল লাগাবে। এগুলো যেন না হয়।’’ 

ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ লিটার কেরোসিন এবং হ্যারিকেন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ছ’লক্ষ মানুষকে ১০ দিনের মধ্যে রান্নার সরঞ্জাম এবং সামগ্রী-সহ ‘কিট’ দেবে রাজ্য। স্বাস্থ্যের দিকটি দেখার জন্য আইএমএ-র চিকিৎসক দল ও দু’টি এনজিও-কে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি ব্লক পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পরিদর্শন করবেন বলে এ দিন জানান মমতা।

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: