শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় রাজ্যের রাজ্যপালকে দিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে রাজ্যসভায় অভিযোগ করেন । ঠিক তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানিয়ে দিলেন তিনি যা করেন সাংবিধানিক বিধির মধ্যেই করেন । তিনি আরও বলেন, তাঁর কাজ তিনি করে যাবেন। সংবিধান তাঁকে সেই অধিকার দিয়েছে।
এ দিন শিলিগুড়িতে অষ্টম সর্বভারতীয় পুলিশ আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে সেখানে তিনি জানান, যখন যেখানে প্রয়োজন পড়বে সেখানেই যাবেন তিনি। এ ব্যাপারে কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সিঙ্গুর–নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক এখনও থামেনি। তার মধ্যেই এমন মন্তব্য করে রাজ্যপাল শাসকদলের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  
পাল্টা রাজ্যপাল এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যবাসীর সেবা করতে সব জায়গায় যেতে হবে। যেখানে দরকার পড়বে সেখানেই যাব। কারও অনুমতির দরকার নেই। দেশের সংবিধান আমাকে অধিকার দিয়েছে। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারি আমি। হেলিকপ্টার না পেলেও যাব।’’
শিলিগুড়িতে রাজ্যপালের বৈঠক চলাকালীনই তাঁর কাজকর্ম নিয়ে সংসদে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বাংলায় যা করছেন, তা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। ওঁকে দিয়ে রাজনীতি করাচ্ছেন কেন? রাজনীতি যদি করতেই হয়, তাহলে রাজভবন ছেড়ে দিয়ে করুন।’’ সুখেন্দুর সেই মন্তব্য গুরুত্ব না দিয়ে ধনকড় বলেন, ‘‘সংসদে অভিযোগ করতেই পারেন সাংসদ। সংবিধানের অধিকারে নির্ভীক ভাবে কাজ করে যাব আমি।’’
মুখ্যমন্ত্রী যেমন তাঁকে তাঁর ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তেমনই মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কর্তব্য পালন করেননি বলেও অভিযোগ করেন ধনকড়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল কেন্দ্রের এজেন্ট, তাঁকে কিন্তু সংবিধানই অধিকার দিয়েছে। অনেকে বলছেন আমি নাকি পর্যটক, কেউ তা ভেবে থাকলে ভুল করছেন। রাজ্যে কী ঘটছে না ঘটছে, সে সম্পর্কে আমাকে অবগত করা কর্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। বুলবুল নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট করা উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীর।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: