ঘোষিত মত বুধবার সকালে রাজ্যপাল কলকাতা থেকে ডোমকল রওনা দেন । পথে কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসে দুপুরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর মুর্শিদাবাদের ডোমকলের উদ্দেশে রওনা দেন । কিন্ত রাজ্যের রাজ্যপালকেও যে রাজনীতির শিকার হতে হবে তা হয়তো তিনি কল্পনা করতেও পারেননি ।
বুধবার রাজ্যপাল গিয়েছিলেন ডোমকল গিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও ডোমকলের বিধায়ক আনিসুর রহমানের আমন্ত্রণে একটি গার্লস কলেজ উদ্বোধন করতে । কিন্ত যাওয়ার পথে বেনজীরভাবে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হল । একই সঙ্গে ‘ গো ব্যাক ‘ স্লোগানও চলল ।

এই ঘটনা রাজ্যের সরকারি দলের জন্যই মর্যাদাহানিকর— মন্তব্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন— শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
ডোমকল গার্লস কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে এ দিন সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমকলের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছনোর আগে থেকেই ডোমকল হাসপাতাল মোড়ে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকশো লোক। কনভয় দেখা দিতেই তাঁরা কালো পতাকা নাড়িয়ে এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীরা কনভয় আটকানোর চেষ্টা অবশ্য করেননি। পুলিশও দ্রুত কনভয়টিকে ওই এলাকা পার করিয়ে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভ দেখেই রাজ্যপাল নিজের গাড়ির জানালার কাচ নামিয়ে দেন এবং বিক্ষোভকারীদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে পেরিয়ে যান।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলই এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাঁরা সবাই তৃণমূলকর্মী বলে জেলা বিজেপির দাবি। কিন্তু মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের যোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। ডোমকলের তৃণমূল নেতারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু তাঁদের দাবি, এই বিক্ষোভ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ।
বামেরা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। যাদবপুরের সিপিএম বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভায় বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে কেন যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু তিনি যখন একটা জায়গায় গিয়েছেন, তখন এ সব করার কোনও অর্থ হয় না।’’ সুজনের প্রশ্ন, ‘‘কালো পতাকা দেখিয়ে কী গোপন করতে চাইছে তৃণমূল? কোন সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন ওঁরা?’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এরা শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’ তবে তার সঙ্গেই সোমেনের সংযোজন, ‘‘রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্যপাল— সবই এখন এক। সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কথা কেউ মাথায় রাখছেন না।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: