মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে রাজনৈতিক সংকটের মাঝে শরদ পাওয়ার ও নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে । তবে দিল্লির রাজনৈতিক মহল সূত্রে বাংলার জনরব যে খবর পেয়েছে তাতে স্পষ্ট , শরদ পাওয়ার মূলত কৃষক সমস্যা নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এর সঙ্গে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ারা কোনো সর্ম্পক নেই ।শরদ পওয়ার অবশ্য আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে যেমন মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়নি, তেমনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সেই আলোচনার প্রশ্ন নেই। বরং অসময়ের বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রের কৃষকরা যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তা নিয়েই আলোচনা হবে। আজ, বুধবার সেই বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে পওয়ার লিখেছেন, ‘রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকায় অবিলম্বে আপনার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কৃষকদের জন্য অবিলম্বে ত্রাণের বন্দোবস্ত করে তাঁদের পাশে দাঁড়ালে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।’ একটি সূত্রে খবর, বৈঠকের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকেও ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। 
কিন্তু মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে যখন টানাপড়েন চলছে প্রায় এক মাস ধরে, তখন মোদী–পওয়ারের এই বৈঠককে নেহাতই কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা বলে মানতে নারাজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাই উঠে আসছে একাধিক জল্পনা, গুঞ্জন। প্রথম সম্ভাবনা— শিবসেনা, এনিসিপি এবং কংগ্রেস মিলে সরকার গঠন নিয়ে যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাচ্ছে না, তখন বিকল্প হিসেবে বিজেপির সঙ্গে এনসিপি জোট করে সরকার গঠন করতে পারে। শরদ পওয়ারের এনসিপি–র হাতে রয়েছে ৫৪টি আসন, যা শিবসেনার থেকে মাত্র দু’টি আসন কম। বিজেপির আসনসংখ্যা ১০৫। দু’দলের মিলিত আসনে ম্যাজিক ফিগারে (১৪৫) পৌঁছতে কোনও অসুবিধাই হবে না। ফলে দীর্ঘ দিনের ইউপিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে পারেন শরদ পওয়ার, এমন জল্পনা অবাস্তব নয় রাজনৈতিক শিবিরের কাছে।
তবে ইউপিএ জোট ছেড়ে এনসিপি-র বেরিয়ে যাওয়ার যে কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে এটা স্পষ্ট যে , এনসিপি ইউপিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবে না । এদিকে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে শিবসেনা ফের আজ বলেছে তারা খুব শীঘ্রই সরকার গড়তে চলেছে । আগামী কালই এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত ইঙ্গিত দিয়েছেন ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: