ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে । আগামী ২৫ নভেম্বর প্রথম দফার ভোট । সেই উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ঝাড়খন্ডে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দিলেন না  , বরং ধর্মের তাস খেলেই ঝাড়খন্ড জিততে চাইছে বিজেপি । তা আরও একবার প্রমাণ করলেন অমিত শাহ । তিনি আজ লাতেহারে ভোট প্রচারে গিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন মূলক কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করে স্পষ্ট করে রামের নামে ভোট চাইলেন । তিনি বলেন ,গগনচুম্বী রাম মন্দির বানানো হবে। অমিত শাহের প্রচারে রাম মন্দির প্রাধান্য পাওয়ায় বিরোধী জেএমএম-কংগ্রেস শিবির জুড়ে তীব্র আলোড়ন।
বিরোধীদের অভিযোগ মন্দির তাস খেলেই নির্বাচনে নিজের অস্তিত্ব রাখতে চাইছে বিজেপি। লাতেহারের মনিকা মাঠেই রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি প্রথম নির্বাচনী জনসভায় অমিত শাহকে নামাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতির হুঙ্কার, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের নেতৃত্বে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা থেকে মুক্ত হচ্ছে ঝাড়খণ্ড। তিনি বলেন, বিরোধীরা প্রচার করছে বিজেপির সরকার কী করেছে।
প্রশ্ন করছি, কংগ্রেস ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এই রাজ্যের জন্য কী করেছে? নির্বাচনী বিশ্লেষকদের ধারণা, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে রাম মন্দির তৈরির ইস্যু-কেই মূল হাতিয়ার করবে বিজেপি । সেই বার্তা বৃহস্পতিবার লাতেহারের জনসভা থেকেই মিলতে শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ২৫ নভেম্বর প্রচারে আসছেন মোদী।
অথচ ঝাড়খন্ডে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেকারত্ব বেড়েছে , মানুষের রোজগার কমে গেছে , আর্থিক মন্দার প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চলের এই রাজ্যে । অনেকগুলি কল-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে । সেগুলির দিকে নজর না দিয়ে রাম মন্দির গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি । সেটা কী আদৌ সম্ভব হবে ? তা জানা যাবে ২৩ ডিসেম্বর ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: