মহারাষ্ট্রের পর এবার ধাক্কা পশ্চিমবঙ্গেও। তিনটি উপনির্বাচনের তিনটিতেই জয় পেল শাসক দল তৃণমূলের (TMC) প্রার্থীরা। বিজেপিকে (BJP) হারাতে হলো খড়গপুর সদর (Kharagpur Sadar) এবং কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) মতো বিধানসভা (Assembly)।

 

মহারাষ্ট্রে(Maharashtra) প্রথমে সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি। রাজ্যপাল সব রাজনৈতিক দলকে ডাকলেও কোনও দলই সরকার গঠন করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি শাসন(President Rule) জারি হয়। তারপর কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনার (Congress-NCP-Shiv Sena) দল গঠন যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন সাত সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। কিন্তু সেই মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ স্থায়ী হয় মাত্র চার দিন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) পদে শপথ উদ্ধব ঠাকরের। 

 

বিজেপির এই ধাক্কা সামলানোর আগেই পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) তিনটি উপনির্বাচনেই (By Election) হারের মুখ দেখতে হলো গেরুয়া শিবিরকে। এমনকী বিজেপির দখলে থাকা আসনও হারাতে হলো। যা কখনই বাংলায় বিজেপির জন্য স্বস্তিদায়ক নয়।

 

কালিয়াগঞ্জে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। খেলা ঘুরলো বেলা বাড়তেই। সপ্তম রাউন্ড থেকে এগতো থাকেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন দেব সিংহ (TMC Candidate Tapan Dev Singha)। শেষ হাসি হাসলেন তিনিই। জিতলেন ২,৩০৪ ভোটে। অথচ মাত্র ছ’মাস আগে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) নিরীখে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন ৫৬৭৬২ ভোটে। সেখান থেকে এই ব্যবধান কমিয়ে ফের তৃণমূল প্রার্থীর জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

খড়গপুর সদরেও জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী। শেষ লোকসভা ভোটের নিরীখে খড়গপুর সদর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ এগিয়ে ছিলেন ৪৫১৩২ ভোটে। আবার ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষ এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ৬৩০৯ ভোটে।মর্যাদার লড়াইয়ে হারতে হলো দিলীপ ঘোষকে।

 

২১ বছর পর এই প্রথম বিধানসভা ভোটে খড়গপুর সদর আর কালিয়াগঞ্জে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস।

 

অন্যদিকে, করিমপুরেও জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। 

তৃতীয় হিসাবে শেষ করেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারে। ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল করিমপুরে। তবে উপনির্বাচনের গণনায় তেমন কোনও চমকই ছিল না। কারণ ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১৫৯৮৯ ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। অন্য দিকে এ বছর লোকসভা নির্বাচনের নিরীখেও এই বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: