লোকসভা ভোটের পর এই উপনির্বাচনই ছিল তৃণমূলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই সঙ্গে ছিল প্রশান্ত কিশোরের টেস্ট। এককথায় দুই ইস্যুতেই পাশ মার্ক। 

 

মাত্র ৬ মাসের ব্যবধান, তাতেই কী করে হিসাব উল্টে গেল ? প্রশ্ন উঠছে গেরুয়া শিবিরে। যতই কৈলাস বিজয়বর্গী কমিশনের ঘাড়ে দোষ চাপান, এই হার কিন্তু অনেক প্রশ্ন তুলে দিল। 

 

রাজ্যে উপনির্বাচনে তিনে তিন তৃণমূল করায় বেশ কিছু বিষয় ঘোরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। সেগুলো কী একনজরে দেখে নেওয়া যাক -

 

১০) উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রে জয় তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড়ানোর অক্সিজেন দিল। যা পুরসভা আর বিধানসভায় ‘বুস্ট আপ’-এর জন্য যথেষ্ট

 

৯) দলের ভাঙন রোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব হবে। ছেড়ে যাওয়া নেতা-নেত্রী ও কর্মীদের ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা অনেক বাড়ল

 

৮) কিছুটা থিতিয়া যাওয়া নেতা-কর্মীরা অনেকটাই চাঙ্গা হবেন। মনোবল বাড়বে

 

৭) প্রশান্ত কিশোরের স্ট্রাটেজি যে কাজে লাগছে তা পরিষ্কার। যার ফলে ‘দিদি’কে বলো’র মতো জনসংযোগকারী কর্মসূচী আরও আসতে পারে। যা রাস্তায় নেমে তৃণমূলকে মানুষের সঙ্গে আরও মিশে যেতে সাহায্য করবে

 

৬) ‘দিদি’কে বলো’র পাল্টা যে বঙ্গ বিজেপি তৈরি করতে পারেনি তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। চায়ে পে চর্চা ক্লিক করেনি

 

৫) বিজেপি’র নিচু তলার সংগঠন এখনও কতটা ঠুনকো তা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। যেখানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছে সেখানে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের প্রায় কোনও ছাপই দেখা যায়নি

 

৪) যেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আর প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষেত্রে ভাগাভাগি বিষয় প্রকট হচ্ছিল, সেখানে প্রশান্ত কিশোরের দিনের পর দিন এলাকায় নেতা-নেত্রীদের পড়ে থাকার মতো স্ট্র্যাটেজি ক্লিক করেছে। সেখানে বিজেপির এরকম জনসংযোগকারী কর্মসূচী চোখে পড়েনি

 

৩) NRC কী কী ক্ষতি করতে পারে তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এবং এলাকায় জনসংযোগ করে তৃণমূল যা করেছে, সেখানে বিজেপি NRC কী এবং কেন তা মানুষকে সঠিক ভাবে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল যেভাবে সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছেছে, বিজেপি তার থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত

 

২) প্রায় প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ‘ফেস’ থাকলেও বিজেপি এখনও ‘ফেস’ তৈরি করতে পারেনি। এমনকী ২০২১ বিধানসভায় বঙ্গ বিজেপি’র ‘ফেস’ কে হবেন সেই প্রশ্ন কিন্তু এখনও রয়েছে। 

 

১) লোকসভা ভোটের পর তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন তৃণমূলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই হলেও, বিজেপির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এই ফলের জন্য দায়ী কি না এই প্রশ্ন জোরাল ভাবে উঠতে শুরু করেছে

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: