দলের চাপে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গেলেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর ।  তিনি গতকালই নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলে সংসদে দাবি করেছিলেন । তা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয় । সংসদ অচল হয়ে পড়ে । বিজেপি দলও এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে । এমনকি রাজনাথ সিংহ সংসদে বলেন মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী কোনো দিন দেশভক্ত হতে পারে না ।
এ দিন লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই গডসে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন প্রজ্ঞা। সেই সঙ্গে তাঁকে নিয়ে টুইটের জন্য রাহুল গাঁধীকেও এক হাত নেন তিনি। তাতে তীব্র আপত্তি তোলেন কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলের নেতারা। ইচ্ছাকৃত ভাবে সংসদভবনের বাইরের ঘটনাকে টেনে এনে, আসল ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। অবিলম্বে সাধ্বীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি ওঠে।

সেই নিয়ে ঝামেলা চরমে উঠলে অধিবেশন স্থগিত রাখেন স্পিকার ওম বিড়লা। সব দলকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি। সেখানেই প্রজ্ঞাকে ফের ক্ষমা চাইতে হবে বলে সর্বসম্মত ভাবে ঠিক হয়। তার পরে অধিবেশন শুরু হলে দ্বিতীয় বার ক্ষমা চান প্রজ্ঞা। তিনি বলেন, ‘’২৭ নভেম্বর এসপিজি নিয়ে আলোচনার সময় নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলিনি আমি। এমনকি গডসের নাম পর্যন্ত মুখে আনিনি আমি। তবুও কেউ আহত হয়ে থাকলে, ফের ক্ষমা চাইছি আমি।’’
এর আগে, সকালেই তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন প্রজ্ঞা। সেইসময় তিনি বলেন, ‘‘আমার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। মহাত্মা গাঁধীকে শ্রদ্ধা করি। শ্রদ্ধা করি দেশের প্রতি ওঁর অবদানকে। যে ভাবে আমার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তবুও কেউ আহত হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’
সেই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকেও নিশানা করেন তিনি। টুইটারে তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে উল্লেখ করায় রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। এ ব্যাপারে তাঁকে সমর্থন করেন বিজেপি সাংসদরাও। কিন্তু বিরোধীরা তীব্র আপত্তি তোলেন তাতে। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না বলে জানিয়ে দেন রাহুলও।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: