সম্ভবত কৌশলগত কারণেই বেশ কিছুদিন সুরটা নামিয়ে রেখেছিলেন। উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রে জয়ের হ্যাটট্রিকের পর কেন্দ্র ঝাঁঝালো আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনফোকমেক (INFOCOM) মঞ্চ থেকে দেশের অর্থনীতি ‘অন্ধকারতম’ সময়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। না, এখানেই শেষ নয় কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, তাতে সবাই ভীত, শিল্পপতিরা ত্রস্ত— অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

 

এককথায় এতদিন চুপ থেকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করার জন্য ইনফোকমের মতো বাণিজ্য সম্মেলনকেই তিনি বেছে নিলেন। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির সাম্প্রতিকতম হার। চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৫ শতাংশে। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে গোটা দেশেই বিরোধী শিবির তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সংসদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলও বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষে বিঁধতে শুরু করেছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। কিন্তু বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশে নামার পরে মমতা নিজে বিশদে মুখ খুললেন এই প্রথম।

 

আবার ইনফোকমের মঞ্চ থেকে এনআরসি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। দেশে বিভাজনের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ নিয়েই জনগণের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেউ ভরসা করতে পারছেন না। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে টাকা রাখলে নোটবন্দি হচ্ছে। আর ব্যাঙ্কে রাখলে লুঠবন্দি হচ্ছে।’’

 

কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি ইনফোকমের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য শিল্পপতিদের কাছে আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় লগ্নি করুন, এখানে প্রচুর জমি আছে।’’ গত কয়েক বছরে পর্যটন, তথ্য প্রযুক্তি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে রাজ্যর অগ্রগতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, বাণিজ্য সম্মেলনে এ দিন তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: