অবশেষে ভোররাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল হায়দ্রাবাদের চিকিৎসক গনধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ৪ জনের। তদন্তের জন্য তাদের তেলঙ্গানার সাদনগরের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সাইবরাবাদের পুলিশ কমিনশনারের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সে সময় পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়। তবে এই ঘটনার পর বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমাজের একাংশের প্রশংসা জুটলেও এ ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এতে বিচারব্যবস্থার আস্থাহীনতাই প্রকাশ পায়। গোটা ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

তেলঙ্গানার আইনমন্ত্রী এ ইন্দ্রকরণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের’। ভগবান অভিযুক্তদের শাস্তি দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় সাদনগরে ৪৪ নন্বর জাতীয় স়ড়কের আন্ডার পাসের কাছে। শামশাবাদে টোলপ্লাজার কাছে ধর্ষণ করে খুনের পর প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে সাদনগরের পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরের দিন চিকিত্সকের দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করতেই শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদনগর নিয়ে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে পালানোর চেষ্টা করে ওই চার জন। বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় ওই চার অভিযুক্তের। সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আরিফ, নবীন, শিবা ও চেন্নাকেশাভুলু পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার পথে সাদনগরের চাতানপল্লিতে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। ঘটনাটি হয়েছে শুক্রবার রাত তিনটে থেকে ভোর ছ’টার মধ্যে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: