হায়দরাবাদ, বক্সার তারপর মালদার ইংরেজবাজার। প্রায় একই বর্বরচিত ঘটনা। যদিও তদন্ত চলছে। আর এই ঘটনাগুলোই চোখে আঙুল দিয়ে নারী সুরক্ষা কোথায় সেই প্রশ্নটাই জোরাল ভাবে তুলে দেয়। রাজ্যে মহিলা কমিশনই বা নারী সুরক্ষায় কী ভূমিকা পালন করছে? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করছে। এ প্রসঙ্গেই রাজ্যে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন কমিশনের ভূমিকা।

 

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুধু ফোনে অভিযোগ নথিবদ্ধ করার জন্য এক জন থাকেন সারাক্ষণ। সেই সঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের ওয়েবসাইটে আমার ফোন নম্বর সহ প্রতিটা সদস্যার ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। পুরো দস্তুর ওয়েবসাইট অ্যাক্টিভ বলে জানান লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। 

 

কিন্তু এতো গেল যাঁরা ফোন, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন তাঁদের জন্য। প্রত্যন্ত গ্রামে মহিলারা বিপদে পড়লে মহিলা কমিশনে তাঁরা জানাবেন কীভাবে ? এমনকী মহিলা কমিশন আছে সেটাই তো অনেকের অজানা। এ প্রসঙ্গে চেয়ারপার্সনের জবাব, ইতিমধ্যেই তাঁরা ছেলে-মেয়ে উভয়কে নিয়েই স্কুল-কলেজে ‘ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশন’ করছেন ডিএম-দের সহায়তায়। এছাড়া পোস্টার-ব্যানার কীভাবে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত তা বাস্তবে পরিণত করারও চেষ্টা চলছে। এছাড়া থানাতে মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কথাও জানানো হয়েছে।

 

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই থানাও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে এরকম উদাহরণ রয়েছে। এ বিষষে চেয়ারপার্সন জানান, এই অভিযোগ অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ, আমরাও এই অভিযোগ পেয়েছি এবং ‘ফেস’ করেছি। তবে যে সমস্ত থানায় এই ঘটনা ঘটছে, সেই থানা এবং অফিসারদের বিষয়ে আমরা যথাস্থানে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতে অভিযোগ নেওয়া নিয়ে গড়িমসি অনেকটাই কমে যাবে। 

 

এখানেই না থেমে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সচেতনতা সবার আগে প্রয়োজন। মহিলাদেরও সচেতন হতে হবে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য। সে জন্য বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম করা হয়, সেগুলোতে যতটা সম্ভব যোগ দেওয়াটাও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এরকম ঘটনার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার পেলেও একটা চেতনা আসবে যারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে থাকে।

 

ইংরেজ বাজারের ঘটনা নিয়ে সুয়ো মোটো করা হবে। এবং ঘটনাস্থলে মহিলা কমিশনের টিম যাবে বলেও জানান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: