সমগ্র দেশ জুড়ে মোদীর আমলে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে । শুক্রবার সকালেই তেলেঙ্গানার পশু চিকিৎসকের ধর্ষণের ঘটনায় এনকাউন্টার করে চার অভিযুক্তকে মেরে দেওয়ার পর দেশজুড়ে শোরগোল উঠেছে । শাসক বিজেপির পক্ষ দাবি করা হচ্ছে এই ধরনের শাস্তিই কাম্য ছিল । কিন্ত খোদ বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের নারীদের ভয়াবহ অবস্থা যা বর্ণনা করা যাবে না । গতকালই প্রকাশ্য দিবালোকে রেলস্টেশনে উন্নাওয়ে অন্য এক ধর্ষিতকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে । ওই মেয়েটির শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে । এরপরেও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুংকার ছাড়েন । যে দেশের মেয়েরা নিরাপদ নয় , সেদেশের শাসক আসলে নপুংসক ।
যোগীর রাজ্যে মেয়েদের অবস্থা কল্পনা করলে শিহরে উঠতে হয় । একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ থামানোর ‘অপরাধে’ নতর্কীর মুখে চালিয়ে দেওয়া হল গুলি। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গত রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূটে। আর এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।

ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োর শুরুতে ওই নতর্কীকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর এক সঙ্গিনীও নাচছেন পাশেই। কিছু ক্ষণ নাচার পর দাঁড়িয়ে পড়েন দু’জনে। তখন পিছন থেকে এক মত্ত ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘গোলি চল যায়েগি (গুলি চলবে)’’। তখন অপর একজন বলেন, ‘‘সুধীর ভাইয়া আপ গোলি চালা হি দো (দাদা আপনি গুলি চালিয়ে দিন)’’।
এর পরই পিছন থেকে ওই নর্তকীর মুখে গুলি চালানো হয়। মুখে হাত দিয়ে বসে পড়েন তিনি। ঘটনায় হকচকিয়ে যান সেখানে উপস্থিত সবাই। জানা গিয়েছে, গত রবিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘটেছে ওই ঘটনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই গ্রামের প্রধানও।
জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলা বর্তমানে কানপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশও এই ঘটনার জেরে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সিনিয়র পুলিশ অফিসার অঙ্কিত মিত্তল বলেছেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আপরাধীকে বিচারের অধীনে আনার সমস্ত চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: