যেখানে হায়দরাবাদের তরুনী চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল, ঠিক সেখানেই চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে মারল পুলিশ। শুক্রবার সকালে এ কথাই জানিয়েছেন সাইবরাবাদের পুলিশ কমিশনার।

 

 

জানা গিয়েছে, ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য চার অভিযুক্তকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়া হয় সামসাবাদে ৪৪ নন্বর জাতীয় স়ড়কের কাছে আন্ডার পাসে। ওই জায়গায়তেই ধর্ষিতা চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জোগাড় করতেই শুক্রবার ভোররাতে অভিযুক্তদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। তেলঙ্গানার আইনমন্ত্রী এ ইন্দ্রকরণ রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। গুলি চালায় পুলিশ। তাতেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তদের’।

 

 

তবে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট এই ঘটনায় কী নির্দেশ দেয় সেদিকেও তাকিয়ে ছিলেন দেশবাসী। সোমবার পর্যন্ত হায়দারাবাদে এনকাউন্টারে মৃত অভিযুক্তদের দেহ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিল তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। জরুরীভিত্তিক আবেদনের শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ শুক্রবার জানায়, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত দেহগুলিকে সংরক্ষণ করতে হবে। ময়নাতদন্ত হবে ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে। সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে। ওই একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেহবুবনগরের জেলা বিচারককেও। শনিবার সন্ধের মধ্যে জমা দিতে হবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সোমবার সকাল ১০.৩০টায় পরবর্তী শুনানি করবে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।

 

 

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর তেলঙ্গানায় শামশাবাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নীচে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের পোড়া দেহ। আগের দিন অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদ শহর ৫০ কিলোমিটার দূরে শামশাবাদে টোল প্লাজার কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের কাছে দেহটিতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনারর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। এ দিনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে এই চার অভিযুক্তেরই।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: