লোকসভা নির্বাচনে ২ থেকে ১৮ টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। এবার রাজ্য দখলের লড়াই। সোমবার বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। সোমবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত ‘অভিনন্দন মিছিল’ করে বিজেপি। তার নেতৃত্বে ছিলেন নাড্ডা। মিছিল শেষে শ্যামবাজার চারমাথার মোড়ে জনসভাও করেন নড্ডা। সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন তিনি। বলেন -

 

লোকসভা নির্বাচন ট্রেলার ছিল, পিকচার আভি বাকি হ্যায়

 

আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ

 

কেন্দ্রের কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না মমতা, তাহলে কে সংবিধানের অবমাননা করছেন? 

 

২০২১ এখনও বাকি। সুস্থ থাকুন মমতাদি। কিন্তু ওঁর নিজের বা আত্মীয়দের কিছু হলে তো ইংল্যান্ড, আমেরিকা নিয়ে যাবেন। গরিব মানুষের কী হবে? 

 

পয়সার অভাবে বাংলার মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন না। তার জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এনেছিলাম আমরা, যাতে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারেন তাঁরা। তাতেও বাধা দিচ্ছেন মমতা

 

আমি বাংলায় আগেও এসেছি, কিন্তু এইবার বাংলার মানুষের অভূতপূর্ব জনসমর্থন দেখে আমি অভিভূত 

 

এই বিপুল মানুষের জনসমাগম প্রমান করছে যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থন করছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজীর সাথে আছেন 

 

আমাদের দেশ বিভাজন ধর্মের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। যা সবথেকে বড় ভুল ছিল কংগ্রেসের নেতাদের দ্বারা। 

 

পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এতো সংখ্যক মানুষের আগমন অন্য দেশ থেকে এক দেশে আগে হয়নি 

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার নেতারা সারা দেশের এবং বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন, সেই আইন নাগরিকত্ব দেয়, কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেয় না

 

১৯৫১ সালে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ছিল ২৩%, আজ ২০১৯ সালে তা মাত্র ৩% এ এসে দাঁড়িয়েছে। এই ২০% মানুষ কোথায় গেলো? তারা কি নিখোঁজ হয়ে গেলো? নাকি তারা ধর্মান্তরিত হলো? 

 

২৬শে ডিসেম্বর, ১৯৪৭ মহাত্মা গান্ধীজী বলেছিলেন শিখ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যারা পাকিস্তানে বসবাস করছেন তারা চাইলে ভারতে ফেরত আসতে পারেন, ভারত সরকারের দায়িত্ব তাদের খেয়াল রাখা। 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তার প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ করেছেন

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: