এক একটা সাল যায় আর এক একটা ঘটনা মনে দাগ কেটে যায়। ২০১৯ সাল শেষ হয়ে ২০২০ সালের সূচনা হলো। নতুন বছর মানেই নতুন শুরু। সব খারাপকে দূরে সরিয়ে ভালোর শুরু। কিন্তু ফেলে আসা বছরে দাগ কেটে যাওয়া ৬ ঘটনা যা কখনও ভোলার নয়। দেখে নেওয়া যাক সেই ছয় ঘটনা।

 

১) গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। নিহত হন ৪০ জওয়ান। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ওই হানার পাল্টা আঘাত হানার দাবিতে গর্জে ওঠে গোটা দেশে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জঙ্গি শিবিরে হামলা চালায় বায়ুসেনার মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেট। পাক সেনার হাতে বন্দি হন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। ভারতের চাপে তাঁকে শেষ পর্যন্ত ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

 

২) অসমে নাগরিকপঞ্জী তৈরি নিয়ে তোলপাড় হয় অসম। সেই আঁচ এসে লাগে গোটা দেশেও। ৩১ অগাস্ট প্রকাশিত হয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা। বাদ পড়ে যান অসমের ১৯ লাখ মানুষ।

 

৩) গত ৫ অগাস্ট খুব ঠান্ডা মাথায় জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরকে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার কথাও ঘোষণা করেন। এতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে।

 

৪) গত ৯ নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের তত্কালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে বেঞ্চে অযোধ্যা মামলার রায় দেন। বাবরিস্থলের বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রাম জন্মভূমি ন্যাসকে দেওয়ার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যর মধ্যেই মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হয় মুসলিম পক্ষকে।

 

৫) গত ২৮ নভেম্বর ভোরে নজিরবিহীনভাবে হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সকের ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে গুলি করে মারে তেলঙ্গানা পুলিস। এদিন ধর্ষণস্থলে অভিযুক্তদের নিয়ে যায় পুলিস। সেখানেই ঘটনার পুনর্নিমাণের চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, তখনই হাতিয়ার ছিনিয়ে পুলিসের ওপরে হামলার চেষ্টা করে ৪ অভিযুক্ত। তখনই চরম পদক্ষেপ নেয় পুলিস।

 

৬) ১১ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে কেন্দ্র। এই আইন অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্থান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে সরকার। শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: