যদিও গতকালই গেরুয়া শিবির থেকে বলা হয়েছিল দীপিকার জেএনইউ এর ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো শুধুমাত্র তাঁর ছবির প্রচারের উদ্দেশ্যে, তবু ২৪ ঘণ্টাতেই মত বদলেছে তারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বললেন, ‘‘দীপিকা পাড়ুকোন তো কংগ্রেসের সমর্থক।’’ 

গত ৭ জানুয়ারি আচমকাই জেএনইউয়ে গিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান দীপিকা। ছাত্র সংসদের আহত সভানেত্রী ঐশী ঘোষকে নমস্কার জানিয়ে বলেন, কোনও বক্তৃতা দিতে চান না, শুধু পাশে থাকার বার্তা দিতে এসেছেন। এর পর থেকেই অভিনেত্রীর সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি।

স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘‘২০১১ সালেই তো দীপিকা ওঁর রাজনৈতিক মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যে উনি কংগ্রেসের সমর্থক।’’ ওই বছর একটি সাক্ষাৎকারে কথা প্রসঙ্গে রাহুল গাঁধীকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন দীপিকা। সেই কথাই টেনে এনেছেন স্মৃতি। 

 

চেন্নাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি আরও বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, যাঁরা খবর পড়েন, তাঁরা সবাই জানেন কাদের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছেন আপনি... জানেন, যে আপনি এমন লোকেদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, যাঁরা প্রতি বার সিআরপি জওয়ান মারা গেলে উৎসব করেন...।’’ ওই সংস্থার অনুষ্ঠানের ভিডিয়োটি তাদের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছিল। তাতে স্মৃতিকে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘‘যারা মেয়েদের গোপন অঙ্গে মারধর করেছে, উনি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি এটা অস্বীকার করতে পারি না যে, এমন মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর অধিকারও ওঁর আছে। সেটা ওঁর স্বাধীনতা।’’ 

 

‘কংগ্রেস সমর্থক’, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের সদস্য’, ‘দেশদ্রোহী’— এতেও থামেনি গেরুয়া শিবির। আজ মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গব বললেন, ‘‘জেএনইউয়ে যাওয়ার বদলে মুম্বইয়ে থেকে নাচগান করলেই পারতেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘হিরোইনদের তো মুম্বইয়ে থেকে নাচা উচিত। জেএনইউয়ে কেন যাওয়ার দরকার পড়ল, সেটা মাথায় ঢুকল না। এরা এ ধরনের কাজ করেন আর নিজেদের সমাজকর্মী, শিল্পী বলেন।’’ এ ধরনের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। উত্তপ্ত নেট-দুনিয়াও। আজ দীপিকাকে সমর্থন জানিয়ে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বলেন, ‘‘আমরা কোন পথে এগোবো সেটা বুঝতে অভিনেত্রী সত্যিই আমাদের অনুপ্রাণিত করছেন।’’

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: