CAA নিয়ে এখনও প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলছেই। লখনউতে সবচেয়ে বেশি আঁচ পড়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও চলছে প্রতিবাদ। এরই বিধানসভায় সিএএ প্রত্যাহার প্রস্তাব পাশ করা হবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সে সব তোয়াক্কা না করে অমিত শাহ স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘‘যত প্রতিবাদই হোক, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না, থাকবেই।’’ মমতা, মায়াবতী, অখিলেশদের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তুলে বিতর্কে আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবাদে মদতের অভিযোগে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সদ্য প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

 

উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল। আবার ওই বিক্ষোভ-আন্দোলন পর্বে উত্তরপ্রদেশেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির শাহিনবাগের ধাঁচে সেখানকার ঘণ্টাঘর-এর কাছে এখনও অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল মহিলা ও শিশুরা। সেই লখনউয়ে দাঁড়িয়েই এ দিন অমিত শাহের হুঙ্কার, ‘‘এখানে এবং এখন আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আইন (সিএএ) প্রত্যাহার করা হবে না। যে যত প্রতিবাদই করুন, আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না। সিএএ থাকবেই। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা বুঝতে পারছেন না, কারণ তাঁদের চোখে ভোট রাজনীতির চশমা পরা আছে।’’

 

এর পরেই অমিতের নিশানায় কংগ্রেস, উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা দিদি, মায়াবতীজি, অখিলেশজি, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আপনাদের দেশের যে কোনও প্রান্তে বিতর্কে আহ্বান জানাচ্ছি। আমি হলফ করে বলতে পারি, আপনারা (এই আইনে) এমন কোনও ধারা দেখাতে পারবেন না, যাতে বলা হয়েছে, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।’’

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: