শুধুমাত্র সরকার পক্ষ নয়, ব্রিটিশ সাংসদের ভিসা বাতিল করাকে সমর্থন করল বিরোধীরাও। ডেবির বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও আইএসআই যোগের অভিযোগ তুলে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু  বলেছেন, ওঁকে ফেরত পাঠিয়ে ঠিকই করেছে ভারত সরকার। অন্য দিকে কেন্দ্রের তরফে আজ মঙ্গলবার বলা হয়েছে, ‘‘ডেবির কাজকর্ম জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী বলেই তাঁর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।’’

 

সোমবার সকালে বিজনেস ভিসা নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নামেন ব্রিটিশ সাংসদ তথা সে দেশে কাশ্মীর সংক্রান্ত ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর চেয়ারপার্সন ডেবি অ্যাব্রামস। কিন্তু বিমানবন্দরেই তাঁর ভিসা বাতিল করে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফিরে সেই ভিসা বাতিল নিয়ে সরব হন ডেবি। তাঁর দাবি, ভিসার মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মেয়াদ রয়েছে সেটা বোঝাতে ভিসার একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন ডেবি।

 

 

কিন্তু ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা মঙ্গলবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কাকে ভিসা দেওয়া হবে বা হবে না, তা সম্পূর্ণ ভিসা প্রদানকারী দেশের এক্তিয়ারে পড়ে। তা ছাড়া ডেবির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এ বার উনি পারিবারিক সফরে এসেছিলেন। ব্যবসায়িক ভিসায় ব্যক্তিগত সফর করা যায় না। এই সব কারণেই তাঁর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

 

 

জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পরে পরেই ভারতের কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করেছিলেন এই ডেবি। ব্রিটেনে কাশ্মীর সংক্রান্ত ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান হিসেবে ওই সময় ব্রিটেনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে চিঠি লিখেছিলেন ডেবি। পরেও একাধিক বার কাশ্মীর ইস্যুতে সরব হয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কাশ্মীর নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনা করাতেই কি তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানো হল?

 

 

তবে সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ডেবিকে ‘পাকিস্তানের ছায়া’ সম্বোধন করে বলেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষেই ডেবি অ্যাব্রামসকে দেশে ফেরত পাঠানো জরুরি ছিল। কারণ উনি শুধু এক জন সাংসদ নন, পাকিস্তানের ছায়া। পাক সরকার ও আইএসআই-এর সঙ্গে তাঁর সখ্য কারও অজানা নয়। ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত করে এমন যে কোনও পদক্ষেপকেই রোখা উচিত।’’

 

 

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: