বেশ কিছুদিন ধরেই রদবদলের সম্ভবনা ভাসছিল। তবে কবে হবে সেভাবে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। অবশেষে সোমবার রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন রাজ্য কমিটির রদবদল। উল্লেখ্যযোগ্য গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পালের। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের পর লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং এবার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের গুরুত্ব এক লাফে অনেকটা বেড়েছে সংগঠনে। যুব মোর্চার সভাপতি পদ কে পাবেন, তা নিয়েও বিস্তর জল্পনা ছিল অনেক দিন ধরেই। দেবজিৎ সরকারকে যে সরানো হবে, তা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু নতুন সভাপতি হিসেবে অনেকগুলি নাম ভাসছিল। সোমবার দেখা গেল, সে দৌড়ে শুভ্রাংশু রায় (মুকুল রায়ের ছেলে), পবন সিংহ (অর্জুন সিংহের ছেলে), শঙ্কুদেব পন্ডাদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

 

লকডাউনের জেরে পুর নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছে রাজ্যে। সে নির্বাচন হবে, নাকি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত প্রশাসক বসিয়েই চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পুরসভাগুলো, এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু পুরভোট হোক বা না হোক, রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী পক্ষ হিসেবে উঠে আসা বিজেপির জন্য পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনই। সে দিকে তাকিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতেই হবে এবং অভ্যন্তরীণ সব বিবাদ মিটিয়ে ফেলতেই হবে— এ বার্তা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বার বার দিচ্ছিলেন রাজ্য নেতাদের। নতুন রাজ্য কমিটির চেহারায় কিন্তু সব অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাওয়ার চেষ্টাই দেখা গেল।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: