এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন ঘটনা বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। কারণ, বিচারপতির এজলাশ বয়কটের ঘটনা এর আগে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত রাজ্যের আইনজীবীদের। তাঁদের অভিযোগ, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বনগাঁ মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলায় রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন।  এই বিচারপতির কাছে ন্যায় ও সুবিচার প্রত্যাশা করেন না বলে দাবি রাজ্যের আইনজীবীদের। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাজ্যের আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য। সোমবার আদালতে গঙ্গারামপুরের একটি মামলা চলছিল। সেই মামলাটিও বনগাঁর মামলার মতো অনাস্থা ইস্যুতেই।  মামলা চলাকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্যকে প্রশ্ন করেন, “কেন এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটছে?”  সেই প্রশ্নের উত্তরে ভাস্কর বৈশ্য জানিয়ে দেন, “উই আর নট্ অ্যাটেন্ডিং দিস কোর্ট।” এরপর এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা মামলাটি বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। মামলাটি শোনার পর বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে তীব্র ভর্তসনা করেন বিচারপতি।  তিনি বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সঙ্গে নেই, তবুও চেয়ার আঁকড়ে আছেন? আপনি এত নির্লজ্জ কেন?” বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠের আনা প্রস্তাব মানা হয়নি। এটি গণতন্ত্রের পক্ষে ভুল।” এরপরই তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান কাউন্সিলরদের আটকে দিয়েছে। এটি অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।” আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, “চেয়ারম্যানকে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে হবে।”


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: