এবার আরও বড় চমক। জিওর তিন বছরের বর্ষপূর্তি হচ্ছে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। ওই দিন চমকের কথা এদিন রিলায়েন্সের ৪২ তম বার্ষিকসভায় ঘোষণা করলেন মুকেশ আম্বানি। জানালেন এবার ১০০ এমবিপিএস স্পিডে মিলবে ইন্টারনেট পরিষেবা। এবং স্পিড হবে ১ জিবিপিএস পর্যন্ত। বিশ্বে যে শুল্কে ইন্টারনেট পরিষেবা মেলে সেই শুল্কের এক দশমাংশ হারে শুল্ক দিলেই ভারতে মিলবে সেই পরিষেবা। মাত্র ৭০০ টাকা দিলেই পাওয়া যাবে এই পরিষেবা। এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা দিলে মিলবে ১ জিবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা। সেই সঙ্গে আজীবন দেশের যে কোনও প্রান্তে নি:শুল্কে ভয়েস কল করা যাবে। আর মাত্র অতিরিক্ত ৫০০ টাকা দিলে আমেরিকা এবং কানাডায় ভয়েস কল যত খুশি করা যাবে অর্থাত আনলিমিটেড ভয়েস কল। কিন্তু জিও গিগা ফাইবার সার্ভিস আসলে কী ? আসুন জেনে নেওয়া যাক –

 

১) সাধারণ বৈদ্যুতিক কেবল তারের চেয়ে অনেকটা আলাদা। এখানে চুলের মতো সরু অসংখ্য তার থাকে

 

২) সাধারণ বৈদ্যুতিক কেবলে ইন্টার নেট স্পিড ১০ এমবিপিএস-১০০ এমবিপিএস-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু এই গিগা ফাইবার কেবলে ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি ৫০ এমবিপিএস। আর সর্বাচ্চ ১০ জিবিপিএস।

 

৩) টেলিকম সংস্থাগুলি বর্তমানে টাওয়ারের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে। ফলে এলাকায় একটি টাওয়ার থাকায়, সেখানে হাজার হাজার মানুষ ওই টাওয়ার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে থাকেন। ফলে ইন্টারনেটের গতি অনেক কমে যায়। এই পরিষেবার মাধ্যমে সেই সমস্যা নেই। এখানে ইন্টারনেট সার্ভার অফিস থেকে ফাইবার কেবলের মাধ্যমে গ্রাহকে বাড়িতে বা দফতরে পৌছে যায়। ফলে ভাগ বসানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। সেই কারণে এই পদ্ধতিকে ‘ফাইবার টু দ্য হোম’ও বলা হয়।  

 

৪) এই কেবল মাটির তলা দিয়ে যায়, তাই ঝড়-বৃষ্টিতে সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এছাড়া বর্তমানে যে পরিষেবা পাওয়া যায় সেখানে ১ জিবি ফাইল ডাউনলোড হতে সময় লাগে ১৭ মিনিট। আর এই পরিষেবার মাধ্যমে এই ফাইল ডাউনলোড হতে সময় লাগবে মাত্র ৮৫ সেকেন্ড। এই পরিষেবার মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার গতি তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব।

 



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: