এই মুহূর্তে কাশ্মীরে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞায় হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও সময় দিতে হবে। সমাজকর্মী তেহসিন পুণাওয়ালার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিচে এ কথাই জানাল সর্বোচ্চ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি দু সপ্তাহ পরে।

 

৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাবলেই এই রদ করা হচ্ছে বলে জানান অমিত শাহ। তারপর জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে গঠন করা হবে বলে জানানো হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা, ফোন পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতেই অর্থাত উপত্যকায় অবিলম্বে যাতে কার্ফু তুলে নেওয়া হয়, টেলিফোন সংযোগ ফিরিয়ে আনা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে আদালতে আবেদন করেছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুণাওয়ালা। সেই মামলারই শুনানি ছিল। বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন আবেদনটির শুনানি চলছিল। সেই শুনানিতেই বেঞ্চ জানায়, আমরাও চাই উপত্যকা স্বাভাবিক হোক। তবে রাতারাতি সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও সময় দিতে হবে। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-র জুলাই মাসে হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সেইসময়ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সে বার ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ বার এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। খুব শীঘ্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা আমাদের। আর তা হলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।’’ কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থির উপর নজর রাখছে।     

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: