বাঙালির দুর্গাপুজোকে ঘিরে কেন্দ্র –রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। এবার সেই সংঘাত নতুন মোড় নিল। পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিশ ধরানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা পুরোপুরো মিথ্যা বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আয়কর দফতরের কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ড (CBDT)। CBDT মুখপাত্র সুরভি অহলুওয়ালিয়ার ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন,  কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস ধরানো নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তাসর্বৈব মিথ্যা। এ বছর কোনও রকম নোটিস পাঠানো হয়নি। গত বছর যে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তার কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্যান্ডেল, আলো এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ কিছু ঠিকাদার এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে বরাত দেয় পুজো কমিটিগুলি। ওই সব সংস্থাগুলি ঠিক মতো আয়কর জমা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ সামনে এসেছিল। তাই গত বছরের ডিসেম্বরে ৩০টি পুজো কমিটিকে ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১৩৩(৬) ধারায় নোটিস ধরানো হয়। টাকা মেটানোর সময় কত টিডিএস কাটা হয়েছিল জানতে চাওয়া হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই টিডিএস সংক্রান্ত তথ্য জমা দেন।

 

CBDT-র এই বিবৃতির পরই বিষ্ফোরক জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, CBDT-র বিবৃতিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে। তিনি সোশ্যল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'এইমাত্র খবর পেলাম দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে নোটিস পাঠানো নিয়ে প্রেস বিবৃতি জারি করেছে সিবিডিটি। যাকে সবাই পুজো জিজিয়া কর বলছে। সেই তথাকথিত সেই প্রেস বিবৃতিতে বেশ কিছু দাবি তথ্যগতভাবে ভুল।' তাঁর আরও দাবি, 'গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকি, পুরোহিত এমনকী গ্রামীণ শিল্পীদেরও নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। টিডিএস-এর মাধ্যমে তাদের কর চোকাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা নিঃসন্দেহে তাদের ওপর একটা বড় ভার।' আর এ বছর নোটিশ পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, এ বছর তো এখনও পুজোই হয়নি, তাই নোটিশ পাঠানোর প্রশ্নই ওঠে না।

 



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: