তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বারবারই বলেছেন, দেশের মানুষ তথা দেশবাসী তাঁকে যে কাজ দিয়েছেন সেই কাজই তিনি করছেন। এমনকি দেশবাসী তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্বই তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি লালকেল্লা থেকে হুঙ্কার ছেড়ে রাখলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সারা দেশ এক হয়ে লড়ছে, কোনও ভাবে কোনও পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া চলবে না। এককথায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনে একের পর এক পন্তা অবলম্বন করেছে। তবে আজকে লালকেল্লা থেকে যে চমক তিনি দিলেন, তা কিন্তু ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পর এর গুরুত্ব অনুভূত হয়েছিল। দেশের প্রতিটি সামরিক বিভাগ পরিচালনা ভার এক জন সিঙ্গল পয়েন্ট অফিসারকে দেওয়া হোক। দেশের নিরাপত্তায় ফাঁকফোঁকড় কোথায় আছে তা খুঁজতে যে কমিটি গঠন হয়েছিল সেই কমিটি থেকেই এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে ২০১২ সালে নরেশ চন্দ্র টাস্ক ফোর্স থেকে চিফ অফ স্টাফ কমিটির এক জন চেয়ারম্যান চাই বলে দাবি জানানো হয়েছিল। সেই সমস্ত পরামর্শকে মান্যতা দিয়েই এদিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটির।

 

চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদটির বৌশিষ্ট হলো, এই পদে বহাল ব্যক্তি তিনটি সামরিক বিভাগেরই প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। প্রকৃতপক্ষে এই পদটি হলো সরকারের সঙ্গে স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধান সংযোগকারী অফিসার। তবে এই পদে কে আসীন হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি প্রধানমন্ত্রী। লালকেল্লা থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী দেশের গর্ব। সেনাবাহিনীর প্রতিটি শাখার সমন্বয় আরও জোরালো করতে আমি একটি বড় ঘোষণা করতে চাই আজ। ভারতে একজন সিডিএস বা চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ থাকবেন। আমাদের সেনাবাহিনী আরও কার্যকরী হবে এই সিদ্ধান্তের ফলে।’’



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: