কার্যত জলবন্দি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। সৌজন্যে শুক্রবার বিকেল থেকে কখনও ভারি তো কখনও অতি ভারি বৃষ্টি। শনিবার সেই বৃষ্টি অব্যাহত। টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন রাস্তা ঘাট। যান চালচল তথৈবচ। ১৫ মিনিটের রাস্তা পৌঁছতে অন্তত সময় লাগছে ৫০ মিনিট। তবে এখানেই শেষ নয়, আলিপুর আবহাওয়া দফতর একেবারেই আশার বাণী শোনায়নি। পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামিকাল অর্থাত রবিবার পর্যন্ত কখনও ভারি তো কখনও অতি ভারি বৃষ্টি এবং মাঝারি বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ লাগোয়া এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয় রয়েছে। তার জেরেই এই বৃষ্টি চলেছে। এবং তা রবিবার পর্যন্ত চলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। যদিও কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খুলেছে। জলমগ্ন এলাকাগুলিত পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু অনবরত বৃষ্টি হওয়ার সেই কাজ খুব একটা কার্যকরী হচ্ছে না। তবে বৃষ্টি খানিকটা বিরত হলে অনেকটাই সুবিধা হবে জানিয়েছেন পুরো আধিকারিকরা। যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন পুরো ইঞ্জিনিয়াররাও। তবে বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়েছে শহরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাইওভার শিয়ালদহ ও জীবনানন্দ বন্ধ থাকায়।

 

কলকাতার তারাতলা, ঠনঠনিয়া, খিদিরপুরোর বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। সবচেয়ে বেশি জল জমেছে হাওড়ার ২০টি ওয়ার্ডে। রামরাজাতলা সহ ২০ টি ওয়ার্ডে প্রায় হাঁটু সমান জল। বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবে বৃষ্টির কারণে ট্রেন পরিষেবা ব্যহত হয়নি। যেহেতু বৃষ্টিতে টিকিয়াপাড়ায় রেল লাইন ডুবে যায়, সেই কারণে আগে থেকেই চারটি পাম্প চালানো হয়েছে।   

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: