খোদ বিধানসভার স্পিকার তাঁকে ফোন করে বিধানসভায় এসে সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, সুব্রত বক্সি এবং ফিরহাদ হাকিম নিজে কথা বলেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে বাড়িতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতেও হয়নি। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাত ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপি দফতরে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এবং কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভনবাবুর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ঘটনার পরই তাঁর কলকাতায় ফেরার আগেই রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিলেন বলে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মত। কারণ, এক সময়ে তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন। পরে ছাঁটকাট করে তাঁকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল। আর বর্তমানে তিনি দু’ধরনের নিরাপত্তা পেতেন। কলকাতা পুলিশের ৬ জন এবং রাজ্য পুলিশের ৫ জন মিলিয়ে মোট ১১ জন তাঁর নিরাপত্তা দিতেন। কিন্তু শনিবার কলকাতা পুলিশের সেই ৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি অফিসিয়ালি কিছুই জানেন না। সৌজন্যের খাতিরে কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা তাঁকে একথা জানিয়েছেন। তারপর তিনি বলেন, প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে আমার নিরাপত্তা প্রাপ্য। দেখি রাজ্য সরকার আর কত দূর যেতে পারে!

 

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই যে এই পদক্ষেপ এ বিষয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কোনও সংশয় নেই। তেমনি রাজনৈতিক মহলও এ বিষয়ে সংশয়ে নেই। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: