আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাড়া না পেয়ে আফগানিস্তানকে পাশে পাওয়ার চেষ্টায় আবারও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের।উপরন্তু জম্মু-কাশ্মির ইস্যু তে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়াকে জড়ানোয়, এ বার কাবুলের সমালোচনার মুখে পড়তে হল ইমরান খান সরকারকে। পাকিস্তানকে বেপরোয়া, অবিবেচক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করল তারা।

গত জুলাই মাসে আফগানিস্তানের পুনর্গঠন এবং তালিবানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে সেখানে তাঁর সহযোগিতা চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি সাক্ষাৎকার দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খান। তাতে আফগান তাস খেলে ট্রাম্প সরকারকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা রুখতে গত কয়েক বছর ধরে আফগান সীমান্তে বিপুল পরিমাণ বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে পাক সরকার। গত বছর অগস্টে তাতে আরও বাড়তি ৬০ হাজার সেনা যোগ করার কথা ঘোষণা করে তারা। কাশ্মীর পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই সেনা প্রত্যাহারেরই হুঁশিয়ারি দেন মজিদ খান। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরের যা পরিস্থিতি, তাতে ভারত সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে হতে পারে তাদের। সে ক্ষেত্রে আফগান সীমান্তে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক সেনা সরিয়ে নিতে হবে। তাতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

 আসাদ মজিদ খানের মন্তব্যের নিন্দা করে রবিবার রাতে পাল্টা একটি বিবৃতি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূত রোয়া রহমানি। তাঁর দাবি, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে তার সঙ্গে আফগানিস্তাকে জড়াচ্ছে ইমরান খান সরকার। বেপরোয়া, অবিবেচক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করছে পাকিস্তান। অশান্তিতে আরও উস্কানি দিচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন  ‘‘কাশ্মীর পরিস্থিতি আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে— পাক রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছে আফগানিস্তান। তালিবান এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন বাজে অজুহাত দিচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’’

 

 

 


మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: