দূরন্ত পাসিং ফুটবল আর শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার মানসিকতাই ডুরাণ্ড কাপ ফাইনালে পৌঁছে দিল মোহনবাগানকে। বুধবার রিয়েল কাশ্মীরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে যুবভারতীতে পাল তোলা নৌকার গতি দেখল ফুটবল প্রেমী দর্শকরা।

 

তবে কলকাতা লিগের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছিল কিবু ভিকুনার দলকে। একটার পর একটা ম্যাচ, শুধু নাভিশ্বাস ছাড়া কিছুই বেরচ্ছিলনা মোহন সমর্থকদের। আর ক্রমশই স্প্যানিশ তারকা সালভা চামোরাকে নিয়ে আশা হারাচ্ছিলেন ক্লাব সমর্থকরা। কিন্তু বুধবার যুবভারতীতে বেইতিয়া-মোরান্তেদের দূরন্ত পাসিং ফুটবল আর আশা না রাখা চামোরার কামান দাগা শট যেন মোহন সমর্থকদের নতুন করে উজ্জ্বীবিত করে দেয়। প্রথমার্ধের ৪২ মিনিটে গুরজিন্দারের সেন্টার থেকে সালভা চামারোর ভলিতে দূরন্ত গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।

 

প্রথমার্ধে যেখানে শেষ করেছিল সবুজ –মেরুন ব্রিগেড দ্বিতীয়ার্ধে যেন সেখান থেকেই শুরু করে তারা। ম্যাচ যখন শেষের দিকে, মোহন সমর্থকরা যখন ফাইনালের আনন্দে নেচে উঠেছে ঠিক তখনই ইনজুরি টাইমে ক্রিজোর গোলে সমতায় ফেরাল রিয়াল কাশ্মীর। নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষে ম্যাচের ফল ১-১। ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। সেখানে শুরুতেই সুহেরের গোলে মোহনবাগান ২-১ করে ফেলে। আর এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে  ফের গোল সুহেরের। ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি রিয়েল কাশ্মীর। এক্সট্রা টাইমে সুহেরের জোড়া গোলেই জয় ছিনিয়ে নিল কিবু ভিকুনার দল। মোহনবাগান জিতল ডুরাণ্ড কাপ সেমিফাইনাল ম্যাচ। আর অন্য সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে গোকুলাম কেরালা এফসি।

 

অপেক্ষা ২৪ তারিখের। ফের দূরন্ত পাসিং ফুটবল আর ১৭ তম কাপ টাইটেলের অপেক্ষায় মোহনবাগান সমর্থকরা। 



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: