আমাদের দেশ আর রাজ্যে শুধুই রাজনীতি চলে। কর্মসংস্থানের দিকটা পজিটিভ ভাবে, কেউ দেখেনা। রাজনৈতিক মাথারা ভাবে, যদি ছেলেদের চাকরি দিই, তাহলে খাটবে কারা ? নাড়াই বা দেবে কারা? ঝান্ডা ধরবে কারা? যাদের হাতে, মদের বোতল ধরিয়ে দিলে বা অকেশনে বা ভোটের দিন , বিড়িয়ানি খাইয়ে দিলে কিংবা বাড়ির কেউ মাড়া গেলে, মড়ার গাড়ি একটু কন্সেসন করিয়ে দিলে, যেখানে কাজ মিটে যায়, সেখানে কর্মসংস্থান নিয়ে , মাথা ঘামাবার কোন প্রয়োজন ? কাজ তাদের জন্য - যারা পার্টি তে মোটা টাকা ডোনেশন দেয়। বাবা , কাকা , আত্মীয় রা এম.পি, এম.এল.এ, কাউন্সিলর , প্রধান , তাদের জন্য চাকরি বরাদ্দ। তোমাদের জন্য নয়!ভাল কোর্স করিয়ে থাকলে, তাদের জন্য। সাধারন মানুষের ছেলেদের জন্য নয়। কারন তোমাকে চাকরী টা দিলে, আমার পকেট ভরবেনা। চাকরি টা বাইরে বিক্রি করলে, মোটা টাকা আসবে। তোমাদের জন্য তো, রেসিডেন্সি সার্টিফিকেট, রেশন কার্ডে পারলে নাম তুলে দেওয়া। তোমার বাড়ির মেয়ের বিয়ে হলে, বিডিও,বরো, এস.ডি.ও অফিসে গিয়ে ভিকারির মতো ,মেয়েকে সাথে করে,লাইন দিয়ে, পচিশ হাজার টাকা নেওয়া। তার ফর্মালিটি পূরন করতে গিয়ে, নাভিশ্বাস উঠে যায়। তাও আবার পুরো টাকা পাবে কিনা সন্দেহ আছে। কাগজ পত্র পারফেক্ট করতে গিয়ে, বাকি কাটমানি ওখানেই দিতে হয়। তাইতো শাসক দলের নেতা- নেত্রীরা জোর গলায় বলে, আমি বিয়ের টাকা দিচ্ছি, সাইকেল দিচ্ছি, ব্যাগ,বই, মিড-ডে মিল দিচ্ছি। যা কুকুর বিড়াল মুখ দেয় না। দু টাকা কিলো দরে চাল দিচ্ছি। উজালা প্রকল্পের গ্যাস দিচ্ছি। ঘর, শৌচাগার বানিয়ে দিচ্ছি। আমরা ভারতবর্ষের নাগরিক ভিকারির দলে । ভারতীয় হিসাবে , আমরা নিজেদের কত ছোট করে ফেলেছি। আজ জনগনের দ্বারা জনগনের সরকার । মিথ্যে হয়ে গেছে।  স্বজন -পোষন মনোভাব ছেরে , আমাদের অঞ্চল ভিক্তিক চাকরি টা দিলে, আমাদের ভিক্ষা নিতে হবে না। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্বপ্ন চাহিদা আমরা নিজেরাই সসম্মানের সাথে পূরন করতে পারব। আপনাদেরও আর ভোট ভিক্ষে করতে হবে না। অনায়াসেই ভোট পেয়ে যাবেন।

మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: