সোমবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সফরসূচী কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরেই তিনি হাসপাতালে যান। সাংসদের শারীরিক অবস্থায় খোঁজ নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকা প্রয়োজন। রাজ্যে যা ঘটছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাংসদের উপর এ ধরনের হামলা অত্যন্ত নিন্দ্নীয়। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

উল্লেখ্য, রবিবার একটি পার্টি অফিস দখল এবং জগদ্দলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটা। এই দুটি ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্যামনগর। এই ঘটনার প্রতিবাদের সোমবার ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ, দফায় দফায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। তবে অশান্তি ঠেকাতে সকাল থেকেই পুলিশের টহলদারী চলতে থাকে। কাঁকিনাড়া ও ব্যারাকপুর অঞ্চলজুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ চলতে থাকলে পুলিশ লাঠিতার্জ করে। শ্যামনগরে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ চলে। জানা যায়, ব্যারাকপুর ব্রিজের কাছে জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে।

এই বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোননি। রাস্তাঘাট থমথমে। কল্যাণী এক্সপ্রেস অবরোধ হওয়ায় ট্রাক, লরি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সকালের দিকে শিয়ালদহ-রানাঘাচ লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অশান্তির অভিযোগে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: