উদ্বিগ্ন ১৩৩ কোটি দেশবাসী। ঠিক সেই সময় খবরটা এলো। অবতরণের মাত্র কয়েক মিনিট আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রায় গোটা রাত জেগে সব কিছু দেখার পর সকাল আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে শেষমেশ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি।

কিন্তু এই চন্দ্রযান ২-এর তিনটি অংশ কী কী ছিল জানেন ? তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ইসরো সূত্রে খবর, ল্যান্ডার, রোভার এবং অরবিটার। ল্যান্ডারের কাজ চাঁদের মাটিতে রোভারকে অবতরণ করানো, আর এই রোভার চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও যাচাই করবে। আর অরবিটারের কাজ হলো কক্ষ থেকে ছবি পাঠানো। তবে শুধু তথ্যই পাঠানোই নয়, পৃথিবীর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগের মূল সেতুও এটি। ওজনে ও শক্তিতে চন্দ্রযান ২-এর তিনটি অংশের মধ্যে অরবিটারই সব চেয়ে ভারি। এটির ওজন ২ হাজার ৩৭৯ কিলোগ্রাম।

অন্যদিকে, বিক্রম কী হারিয়ে গিয়েছে, আর কী উত্তর দেবে ? সে প্রশ্নের উত্তর নেই ইসরোর রকাছে। তবে টাকা জলে যায়নি। খরচ হওয়া ৯৭৮ কোটি টাকা অপচয় হয়নি। অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে ইসরো সূত্রে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের কথায় চন্দ্রযানের মাত্র ৫ শতাংশ খোয়া গিয়েছে। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হলেও অরবিটার এখনও ছবি পাঠাবে চাঁদের। কারণ অরবিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। যার ফলে সারা বছর ধরে ছবি পাঠাবে অরবিটার।



మరింత సమాచారం తెలుసుకోండి: